২০২৫ এমন কিছু মুহূর্ত দিয়েছে যা নিয়ে গর্বিত ভারতবাসী, মন কি বাতে জানালেন প্রধানমন্ত্রী
নয়াদিল্লি, ২৮ ডিসেম্বর (হি.স.): প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রবিবার তাঁর মাসিক বেতার অনুষ্ঠান ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে তাঁর চিন্তাভাবনা দেশ বিদেশের মানুষের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন। তিনি বলেন, ২০২৫ এমন কিছু মুহূর্ত দিয়েছে যা নিয়ে গর্বিত ভারতবাসী, মন কি বাত
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী


নয়াদিল্লি, ২৮ ডিসেম্বর (হি.স.): প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রবিবার তাঁর মাসিক বেতার অনুষ্ঠান ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে তাঁর চিন্তাভাবনা দেশ বিদেশের মানুষের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন। তিনি বলেন, ২০২৫ এমন কিছু মুহূর্ত দিয়েছে যা নিয়ে গর্বিত ভারতবাসী, মন কি বাতে জানালেন প্রধানমন্ত্রী| তিনি বলেন, দেশের প্রতিরক্ষা থেকে খেলাধুলোর ময়দান অবধি, বিজ্ঞানের পরীক্ষাগার থেকে বিশ্বের বড়-বড় মঞ্চ পর্যন্ত। প্রতিটি জায়গায় নিজের দৃঢ় পদচিহ্ন রেখেছে ভারত। এই বছর অপারেশন সিঁদুর প্রত্যেক ভারতীয়ের জন্য গর্বের প্রতীক হয়ে উঠেছে। বিশ্ব দেখেছে যে আজকের ভারত নিজের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনো আপোষ করে না। অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভারত মায়ের প্রতি ভালোবাসা আর সমর্পণের ছবি সামনে এসেছে। মানুষজন নিজেদের মত করে ব্যক্ত করেছেন নিজেদের অনুভূতি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই আবেগ তখনও দেখা গিয়েছিল যখন বন্দে মাতরমের ১৫০ বছর পূর্ণ হয়। আমি আপনাদের অনুরোধ করেছিলাম #VandeMataram150 যুক্ত করে নিজেদের বার্তা এবং পরামর্শ পাঠাতে। দেশের মানুষ অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে অংশ নিয়েছেন এই অভিযানে। খেলাধুলোর ক্ষেত্রেও স্মরণীয় বছর হয়ে রইল ২০২৫। আমাদের পুরুষ ক্রিকেট দল আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছে। মহিলা ক্রিকেট দল প্রথম বার জিতে নিয়েছে বিশ্বকাপ। ভারতের কন্যারা উইমেন্স ব্লাইণ্ড টি-টুয়েন্টি ওয়ার্ল্ড কাপ জিতে ইতিহাস রচনা করেছে। এশিয়া কাপ টি-টুয়েন্টিতেও গর্বের সঙ্গে উড়েছে তেরঙ্গা পতাকা। প্যারা অ্যাথলীটরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে বহু পদক জিতে প্রমাণ করেছে কোনো বাধাই উদ্যমের পথ আটকাতে পারে না। বিজ্ঞান এবং মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রেও বড় সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছে ভারত। প্রথম ভারতীয় হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে পৌঁছেছেন শুভাংশু শুক্লা। পরিবেশ সংরক্ষণ এবং বন্যপ্রাণ রক্ষার সঙ্গে জড়িত অনেক উদ্যোগ উল্লেখযোগ্য হয়ে রইল ২০২৫ সালে। ভারতে চিতার সংখ্যাও এখন তিরিশের বেশি হয়ে গিয়েছে। ২০২৫এ আস্থা, সংস্কৃতি এবং ভারতের অসামান্য ঐতিহ্য - ভাস্বর হয়ে উঠেছে। বছরের শুরুতে প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভের আয়োজন গোটা বিশ্বকে বিস্মিত করেছে। বছরের শেষে অযোধ্যার রামমন্দিরে ধ্বজারোহণ সমারোহ প্রতিটি ভারতীয়কে গর্বিত করেছে। স্বদেশী নিয়েও মানুষের উৎসাহ ছিল লক্ষণীয়। মানুষ সেই পণ্যই কিনেছেন যার সঙ্গে জুড়ে আছে কোনো ভারতীয়ের শ্রম এবং যাতে রয়েছে ভারতের মাটির সুঘ্রাণ। আজ আমরা গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, ২০২৫ সাল ভারতকে আরও বেশি আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। এটাও সত্যি যে এই বছর প্রাকৃতিক বিপর্যয় সহ্য করতে হয়েছে আমাদের, বহু অঞ্চলে সম্মুখীন হতে হয়েছে এমন বিপর্যয়ের। এখন দেশ ২০২৬ সালে নতুন আশা, নতুন শপথের সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার জন্য তৈরি।

হিন্দুস্থান সমাচার / সৌম্যজিৎ




 

 rajesh pande