নয়াদিল্লি, ১২ মাৰ্চ (হি.স.) : জৈবপ্রযুক্তি বিভাগ (ডিপাৰ্টমেন্ট অব বায়োটেকনোলজি, সংক্ষেপে ডিবিটি)-এর সঙ্গে একটি যুগান্তকারী সমঝোতাপত্র (মউ)-এ স্বাক্ষর করেছে অসম সরকার। স্বাক্ষরিত চুক্তিটি বায়ো-ই৩ (BioE3) কাঠামোর অধীনে প্রথম অংশীদারিত্ব হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
নিজের অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডলে এ খবর জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মা লিখেছেন, ‘অসম দেশের প্রথম রাজ্য যে বায়ো-ই৩ নীতি অনুমোদন করেছে।’ এই উন্নয়নের তাৎপর্য তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী আরও লিখেছেন, ‘রাজ্যে জৈব-বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য সাম্প্রতিক অ্যাডভান্টেজ আসাম ২.০ শীর্ষ সম্মেলনে ১০টিরও বেশি জৈবপ্রযুক্তি-সম্পর্কিত সমঝোতাপত্ৰ স্বাক্ষরিত হয়েছে।’
নয়াদিল্লিতে ডিবিটি সদর দফতরে স্বাক্ষরিত এই চুক্তিটি ২০২৪ সালের আগস্টে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা কর্তৃক গৃহীত অর্থনীতি, পরিবেশ ও কর্মসংস্থানের জন্য জৈবপ্রযুক্তি (বায়ো-ই৩) নীতি বাস্তবায়ন করে। গত মাসে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতরের মন্ত্রী ড. জিতেন্দ্র সিঙের পৌরোহিত্যে অনুষ্ঠিত কেন্দ্র-রাজ্য অংশীদারিত্ব সম্মেলনের পর আজ এই সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে। এতে রাজ্য সরকারগুলিকে ডিবিটির সাথে সহযোগিতা করতে উৎসাহিত করা হয়েছিল।
চুক্তির বলে ডিবিটি দিগনির্দেশনা প্রদান করবে এবং অংশীদারিত্বকে সহজতর করবে। এর অধীনে অসম একটি বায়ো-ই৩ সেল প্রতিষ্ঠা করে রাজ্যের জৈববৈচিত্র্যকে কাজে লাগিয়ে একটি নিবেদিতপ্রাণ কর্মপরিকল্পনা তৈরি করবে।
প্রসঙ্গত, অসম মন্ত্রিসভা ইতিমধ্যেই আসাম বায়ো-ই৩ অ্যাকশন প্ল্যান অনুমোদন করেছে, যা জৈবপ্রযুক্তির অগ্রগতির প্রতি রাজ্যের প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে।
মউ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ডিবিটি-সচিব ড. রাজেশ এস গোখলে, অসমের মুখ্যসচিব ড. রবি কোটা, ডিবিটি-র বরিষ্ঠ উপদেষ্টা ড. অলকা শর্মা, অসমের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও জলবায়ু পরিবর্তন বিভাগের সচিব পল্লবগোপাল ঝা এবং বিআইআরএসি-র এমডি ড. জিতেন্দ্র কুমার সহ গুরুত্বপূর্ণ আধিকারিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস