ইকোভ্যান চালিয়ে স্বাবলম্বনের নিদর্শন ডিমা হাসাও জেলার যুবতী জোনালি
হাফলং (অসম), ১২ মাৰ্চ (হি.স.) : ইকোভ্যান চালিয়ে স্বাবলম্বনের নিদর্শন তুলে ধরেছেন ডিমা হাসাও জেলার বাসিন্দা যুবতী জোনালি। পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ইকোভ্যান চালিয়ে নিজের পরিবার প্রতিপালন করছেন গুঞ্জুঙের যুবতী জোনালি নাইডিং। পুরুষের সঙ্গে তাল মিলি
ইকোভ্যান চালক কলেজ ছাত্রী জোনালি নাইডিং


হাফলং (অসম), ১২ মাৰ্চ (হি.স.) : ইকোভ্যান চালিয়ে স্বাবলম্বনের নিদর্শন তুলে ধরেছেন ডিমা হাসাও জেলার বাসিন্দা যুবতী জোনালি। পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ইকোভ্যান চালিয়ে নিজের পরিবার প্রতিপালন করছেন গুঞ্জুঙের যুবতী জোনালি নাইডিং। পুরুষের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মহিলারা যে সব কাজে সমান পারদর্শী, তার এক জ্বলন্ত উদাহরণ জোনালি।

প্রবল ইচ্ছাশক্তি থাকলে সব কিছুই যে করা সম্ভব তা প্রমাণ করে দেখিয়েছেন জোনালি নাইডিং। হাফলং সরকারি কলেজের কলা বিভাগের ডিগ্রি চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্রী জোনালি নাইডিং হিন্দুস্থান সমাচার-এর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বলেন, ছোট থেকেই থেকেই তাঁর ইচ্ছা ছিল, পুরুষরা যে সব কাজ করে সে সব কাজ করার ইচ্ছা ছিল তাঁর। আর তাই নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি গাড়ি চালানোকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছেন। প্রতিদিন তিনি ইকোভ্যানে যাত্রী নিয়ে গুঞ্জুং থেকে হাফলং আসেন। বিকালে আবার যাত্রী নিয়ে গুঞ্জুং ফিরে যান। হাফলং থেকে গুঞ্জুঙের দূরত্ব ৩০ কিলোমিটার। প্রতিদিন ইকোভ্যানে যাত্রী নিয়ে জোনালির আসা ও যাওয়া নিয়ে মোট ৬০ কিলোমিটার যাতায়াত করেন।

তিনি বলেন, প্রতিদিন সকাল ৮.০০টায় গুঞ্জুং থেকে ইকোভ্যান নিয়ে হাফলঙের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েন। বেলা আড়াইটা নাগাদ আবার গুঞ্জুঙের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে যান। দিনে শুধু একটি ট্রিপ নিয়ে সন্তুষ্ট জোনালি।

জোনালি বলেন, জ্বালানি এভং খাওয়া-দাওয়ার খরচ বাদ দিয়ে দিনে তাঁর কম-বেশি এক হাজার টাকা রোজগার হয়। পরিবারে মা বাবা সহ রয়েছেন মোট নয়জন সদস্য। এমতাবস্থায় পরিবারের আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো নয়। তাই এই তাঁর রোজগার দিয়ে পরিবার চলে।

তিনি বলেন, গাড়ি চালানোর ফাঁকে সময় বের করে ডিগ্রি চূড়ান্ত বর্ষের পড়াশোনাও চালিয়ে যাচ্ছেন। তাছাড়া জোনালি ফুটবল, হকি খেলতে ভালোবাসার পাশাপাশি জুম খেতও করেন। জোনালি বলেন, পুরুষদের থেকে মহিলাদের কখনও কম ভাবা উচিত নয়। বৰ্তমান যুগে পুরুষদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মহিলারা চাকরি থেকে শুরু করে বাইরে বিভিন্ন কাজ করে চলছেন। মহিলারা এখন শুধু রান্নাঘরেই সীমাবদ্ধ নেই। অনেক মহিলা রোজগারের জন্য পেট্রোল পাম্পেও কাজ করছেন, কেউ আবার বাস, লরি চালিয়ে রোজগার করছেন। ফলে মহিলারা এখন অনেকটা এগিয়ে গেছেন।

মহিলারা এখন আর কমজোর নন বলে মন্তব্য করে জোনালি বলেন, কোনও কাজই ছোট নয়। আমি ড্রাইভিং করে রোজগার করছি। এমতাবস্থায় তিনি মহিলাদের স্বনির্ভর হতে যার যে ধরনের কাজ করার ইচ্ছা, তা নিশ্চয় করা উচিত বলে মন্তব্য করেন জোনালি নাইডিং।

হিন্দুস্থান সমাচার / বিশাখা দেব




 

 rajesh pande