- ‘স্বাধীনতার পর ২০১৪ সাল পর্যন্ত সম্মিলিতভাবে সমস্ত প্রধানমন্ত্রী উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মাত্র ২১ বার সফর করেছেন, অথচ ১০ বছরে মোদীজি সফর করেছেন ৭৮ বার’
আইজল, ১৫ মাৰ্চ (হি.স.) : প্রায় ৩৫ বছর ধরে আসাম রাইফেলস-এর সদর দফতর তথা ছাউনি স্থানান্তরের দাবি উঠছিল। কেবলমাত্ৰ ভূ-প্রকৃতি এবং জমির অভাবে ওই দাবি পূরণ হচ্ছিল না। অবশেষে আজ (শনিবার) মিজোরাম সরকারের বদান্যতা এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতায় আসাম রাইফেলস-এর প্রায় চার দশকের পূরণো দাবি পূরণ হয়েছে, বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
আজ শনিবার আইজলে আসাম রাইফেলস (এআর) এবং মিজোরাম সরকারের মধ্যে জমি হস্তান্তর এবং এআর-এর সদর ছাউনি স্থানান্তর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য পেশ করছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রাজ্যের রাজধানী আইজল থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে জোখাওসাং-এ আসাম রাইফেলস-এর সদর ছাউনি স্থানান্তরের অনুষ্ঠানে যোগদান করে প্রদত্ত সমাবেশে এই পদক্ষেপের তাৎপর্য তুলে ধরেছেন অমিত শাহ।
তিনি বলেন, ‘এই কর্মসূচি কেবল আসাম রাইফেলস-এর স্থানান্তর সম্পর্কে নয়, এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আইজল শহরকে আমাদের বিকশিত করার ক্ষেত্রে জমির সীমাবদ্ধতা ছিল একটি বড় বাধা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্ৰ মোদীর এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হলো আজ।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত কেবল প্রশাসনিক নয় বরং মিজো জনগণের প্রতি ভারত সরকারের গভীর দায়িত্ববোধের প্রতিফলন। জমি স্থানান্তরের ফলে আইজল শহরের সম্প্রসারণ এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন সহজতর হবে,’ আশা ব্যক্ত করেছেন অমিত শাহ। ‘মিজোরামের নিরাপত্তায় আসাম রাইফেলস তাদের নতুন অবস্থান থেকে কার্যকরভাবে কাজ চালিয়ে যাবে তা নিশ্চিত,’ বলেন তিনি। মিজোরামের উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রচার এবং নগর পরিকল্পনা উদ্যোগগুলিকে উন্নত করার জন্য কেন্দ্রের বৃহত্তর প্রচেষ্টার বহু তথ্য তুলে ধরেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আসাম রাইফেলস-এর সদর দফতর স্থানান্তর অনুষ্ঠানে অমিত শাহ মিজোরামের প্রতি কেন্দ্ৰীয় সরকারের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মিজোরামের জন্য ভারত সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচিতে আজ একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। আসাম রাইফেলস-এর সদর দফতর স্থানান্তরের ঐতিহাসিক তাৎপর্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে অমিত শাহ বলেন, ‘আইজলে প্রথম সামরিক শিবির ১৮৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তার পর আজ এই স্থানান্তর আইজলের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলির মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।’
সরকারের বৃহত্তর দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ পর্যটন, প্রযুক্তি, কৃষি এবং বিস্তৃত উদ্যোক্তা উত্তর-পূর্বাঞ্চল জুড়ে প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার জন্য মোদী প্রশাসনের দশকব্যাপী প্রচেষ্টার নানা তথ্যও তুলে ধরেছেন। এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কৃতিত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর ২০১৪ সাল পর্যন্ত মোদীজি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পূর্ববর্তী সমস্ত প্রধানমন্ত্রী সম্মিলিতভাবে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মাত্র ২১ বার সফর করেছেন। অথচ মোদীজি এখন পর্যন্ত উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ৭৮ বার সফর করেছেন, যা এই অঞ্চলে অগ্রগতির প্রতি তাঁর প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।’
হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস