শিলান্যাস পরবর্তী পর্যায়ে ৪২৫.৪৮ কোটি টাকায় নির্মীয়মাণ প্রস্তাবিত আবাসন প্রকল্পের
দেড়গাঁও (অসম), ১৫ মাৰ্চ (হি.স.) : গোলাঘাট জেলার অন্তর্গত দেড়গাঁওয়ে প্রথম পর্যায়ে ১৬৭.৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কারকৃত বহু সুবিধা সংবলিত অত্যাধুনিক ‘লাচিত বড়ফুকন পুলিশ অ্যাকাডেমি’র উদ্বোধন করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এছাড়া শিলান্যাস করেছেন পরবর্তী পর্যায়ে নির্মীয়মাণ অত্যাধুনিক প্রকল্পের। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা, কেন্দ্রীয় বন্দর, জাহাজ চলাচল ও জলপথ মন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল, বিদেশ দফতরের প্রতিমন্ত্রী পবিত্র মার্ঘেরিটা, রাজ্যের কয়েকজন পরিষদীয় মন্ত্রী অজন্তা নেওগ, অতুল বরা, পীযূষ হাজরিকা, কেশব মহন্ত, রূপেশ গোয়ালা, ডিজিপি ড. হরমিত সিং, রাজ্য সরকারের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকবর্গ, বেশ কয়েকজন বিধায়ক, বিজেপির অসম প্রদেশ প্রভারী এইচ দ্বিবেদী সহ দলীয় বহু নেতা ও কার্যকর্তা প্রমুখ।
উদ্বোধনের পর ডিজিপি হরমিত সিং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহকে 'লাচিত বড়ফুকন পুলিশ অ্যাকাডেমি'র সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে অবহিত করেন। এর পর তিনি অত্যাধুনিকভাবে সংস্কারকৃত গোটা ভবনটি ঘুরে দেখেছেন। সেখানে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে ছবিও তুলেছেন।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যারাতে যোরহাটের রওরিয়াহ্ (ররৈয়া) বিমানবন্দরে অবতরণ করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানে তাঁকে উষ্ণ স্বাগত জানিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা ও তাঁর মন্ত্রিসভার সহকর্মীগণ, কেন্দ্ৰীয় মন্ত্রী পবিত্র মার্ঘেরিটা, অসম প্রদেশ বিজেপি সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ শইকিয়া, রাজ্য সরকারের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকবর্গ প্রমুখ।
যোরহাট থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রায় ২৬.৪ কিলোমিটার দূরে গোলাঘাট জেলার অন্তর্গত দেড়গাঁওয়ের এসেছিলেন। এখানে লাচিত বড়ফুকন পুলিশ অ্যাকাডেমির অতিথিশালায় রাত কাটিয়েছেন তিনি।
আজ শনিবার সকালে এখানে লাচিত বড়ফুকন পুলিশ অ্যাকাডেমির উদ্বোধন করে অ্যাকাডেমি চত্বরে দ্বিতীয় পর্যায়ের ৪২৫.৪৮ কোটি টাকায় নির্মীয়মাণ প্রস্তাবিত আবাসন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন অমিত শাহ।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, ৩৪০ একর জমি জুড়ে বিস্তৃত অ্যাকাডেমিটি দুটি পর্যায়ে ১,০২৪ কোটি টাকা আনুমানিক ব্যয়ে সংস্কার করা হচ্ছে। ১৬৭.৪ কোটি টাকার প্রথম পর্যায়ের পাঁচতলা ভবনে স্মার্ট ক্লাসরুম, অস্ত্র উদ্দীপক, গবেষণাগার এবং প্রশাসনিক অফিস সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। এছাড়া একটি জাদুঘর এবং একটি আধুনিক প্যারেড গ্রাউন্ডও রয়েছে এখানে।
এই আধুনিক অবকাঠামোটি প্রশিক্ষণার্থীদের পুলিশি তাত্ত্বিক এবং ব্যবহারিক উভয় দিকই নির্বিঘ্নে প্রদানের জন্য তৈরি করা হয়েছে। অস্ত্র প্রশিক্ষণ উদ্দীপক ঝুঁকি, বিপদ এবং খরচ ছাড়াই সম্পূর্ণ নিরাপদ পরিবেশে বাস্তব বিশ্বের যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য আইন প্রয়োগকারী কর্মীদের প্রস্তুত করতে সহায়তা করবে।
দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪২৫.৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে অ্যাকাডেমিতে আবাসন পরিকাঠামো তৈরির প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে ২৪০টি পরিবারের জন্য আবাসিক কোয়ার্টার, ৩১২ জন কর্মকর্তা/কর্মচারী এবং ২,৬৪০ জন প্রশিক্ষার্থীর জন্য হোস্টেল থাকবে।
হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস