কলকাতা, ১৫ এপ্রিল (হি.স.): শনিবার সাতসকালে বাড়িতে ঢুকে পরিবারের সামনেই বাবা-ছেলেকে টেনে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে, থেঁতলে খুন করে দুষ্কৃতীরা। ঘটনার ৩ দিন পর পুলিশের জালে ধরা পড়ল অভিযুক্তরা।
পুলিশ সূত্রের খবর, খুন করে সুতি দিয়ে বাংলাদেশে পালানোর পরিকল্পনা করে ফেলেছিল একজন। আরেকজন ঘাঁটি গেড়েছিল বীরভূমে।
এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার জানিয়েছেন, এই ঘটনার তদন্তে একটি সিট গঠন করা হয়েছিল। তদন্তকারীরা এলাকার প্রতিটি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন। সেই সূত্র ধরেই ফোর্স পৌঁছে যায় বীরভূমে। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় একজনকে। তারপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই আরেকজনের খোঁজ পাওয়া যায়।
প্রথমে ধৃত কালু জানায়, ভাই দিলাবর নাদাব সুতিতে। সীমান্তের অদূরেই গা-ঢাকা দিয়েছিল অভিযুক্ত। পরিকল্পনা ছিল বাংলাদেশ পালিয়ে যাওয়ার। তার আগেই গ্রেফতার করা হয় তাকে। সেদিন দাস পরিবারে তাণ্ডব চালানো বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। তবে এরাই মূল অভিযুক্ত , দাবি পুলিশের।
ধুলিয়ানের জাফরাবাদে শনিবার নৃশংস ঘটনার সাক্ষী হয় দাস পরিবার। বাড়ি থেকে হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছে বাবা-ছেলেকে। নিহতদের নাম হরগোবিন্দ দাস (৭০) এবং তাঁর ছেলে চন্দন দাস (৪০)।
সেই ঘটনার পরই তৎপর হয় পুলিশ। কিন্তু মূল অভিযুক্তরা ধরা পড়ছিল না। পুলিশের তরফে বারবার আশ্বাস দেওয়া হয়, দুর্বৃত্তদের খুঁজে বের করা হবেই। গতকালই সাংবাদিক বৈঠক করে এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিম বলেন, 'দরকারে পাতাল থেকে তুলে আনা হবে দুষ্কৃতীদের'। তারপরই মঙ্গলবার এই গ্রেফতারি।
প্রসঙ্গত, ওয়াকফ সংশোধিত আইনের বিরোধিতায় প্রতিবাদের নামে জ্বলছে হিংসার আগুন। আর তাতেই জ্বলে পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে কিছু নিরীহ মানুষের জীবন।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / অশোক সেনগুপ্ত