আপডেট...অসমে পাক-প্রেমী, গ্রেফতার বেড়ে ১৪, লাগবে এনএসএ-র ধারা, সতর্কবার্তা মুখ্যমন্ত্ৰীর
গুয়াহাটি, ২৬ এপ্রিল (হি.স.) : পহেলগামে ইসলামিক সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতবিরোধী তথা ‘রাষ্ট্রদ্রোহী’ মন্তব্য করার দায়ে অসমে ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ শনিবার জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মা। এছাড়া দেশবিরোধী প্ৰচার এবং দেশবিরোধী মনমানসি
প্রতিনিধিত্বমূলক (আইটি এনই–র সৌজন্যে)


গুয়াহাটি, ২৬ এপ্রিল (হি.স.) : পহেলগামে ইসলামিক সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতবিরোধী তথা ‘রাষ্ট্রদ্রোহী’ মন্তব্য করার দায়ে অসমে ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ শনিবার জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মা। এছাড়া দেশবিরোধী প্ৰচার এবং দেশবিরোধী মনমানসিকতাকে সমর্থনকারী অপরাধীদের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইন (এনএসএ)-এর ধারা প্রয়োগ করা হতে পারে বলেও সতর্ক করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে শুধুমাত্র আজই (শনিবার) ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা কাছাড় জেলার দুই এবং একজন করে হাইলাকান্দি, নগাঁও ও শ্রীভূমি জেলা থেকে।

এছাড়া ভারতের জাল-বায়ু খেয়ে পেহেলগামে সংগঠিত ঘটনায় পাকিস্তানকে সমৰ্থন করে সোশাল মিডিয়ায় কমেন্ট পোস্ট করার দায়ে গুয়াহাটিতে গ্ৰেফতার করা হয়েছে এক মহিলা সাংবাদিক দধীচি ডিম্পল এবং কংগ্ৰেস নেতা বিমল মাহাতোকে।

তাছাড়া ফেসবুকে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ পোস্ট করার অভিযোগে শ্রীভূমি জেলা থেকে একজনকে শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। কাছাড় জেলা পুলিশ একই ধরনের পোস্ট করার জন্য আরও দুজনকে গ্রেফতার করেছে। তারা সোনাই থানার অন্তর্গত রামনগরের বাসিন্দা বখতার হোসেন বড়ভুইয়াঁ এবং শিলচর শহর তথা সদর থানার অন্তর্গত মালুগ্রাম ফাঁড়ি এলাকাধীন ঘনিওয়ালার বাসিন্দা মহম্মদ ইমরান হোসেন বড়ভুইয়াঁ।

এদিকে আজ বিজেপির প্রদেশ সদর দফতরে আয়োজিত রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের সংকল্প পত্র প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনে মুখ্যমন্ত্ৰী ড. শৰ্মা জানান, প্রয়োজনে এদের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইন (এনএসএ)-এর সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা করা হবে। তিনি বলেন, ‘ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে কোনও মিল নেই। দুটি দেশ শত্রু রাষ্ট্র এবং আমাদের অবশ্যই সেভাবেই থাকতে হবে।’

প্ৰসঙ্গত গত কাল ২৫ এপ্রিল রাতে পাকিস্তানপন্থী অবস্থান নেওয়ার অভিযোগে পুলিশ আরও একজনকে গ্ৰেফতার করেছে। পহেলগাম-নিধনের সঙ্গে জড়িত পাকিস্তানের প্রতি সহানুভূতি বা সমর্থন প্রদর্শনকারী যে কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে অসমে ধরপাকড় করা হচ্ছে।

এখন পর্যন্ত যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা যথাক্রমে নগাঁও জেলার অন্তর্গত ধিঙের এআইইউডিএফ বিধায়ক মহম্মদ আমিনুল ইসলাম, হাইলাকান্দির মহম্মদ জাবির হোসেন, শিলচরের মহম্মদ একে বাহাউদ্দিন ও মহম্মদ জাবেদ মজুমদার, মরিগাঁওয়ের মহম্মদ মাহাহার মিয়াঁ ওরফে মহম্মদ মুজিহিরুল ইসলাম, সামাগুড়ি চাপাতকারের মাসুম আজাহার, শিবসাগরের মহম্মদ সাহিল আলী, বরপেটার মহম্মদ জারিফ আলি, করিমগঞ্জের মহম্মদ মুস্তাক আহমেদ ওরফে সাহেল, বিশ্বনাথের অনিল বানিয়া (ছাত্র মুক্তি সংগ্রাম পরিষদের জেলা সম্পাদক)।

হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস




 

 rajesh pande