গুয়াহাটি, ১৬ মে (হি.স.) : অকালে চলে গেলেন জনপ্রিয় অসমীয়া সংগীতশিল্পী, সাংস্কৃতিক আইকন গায়ত্রী হাজারিকা। আজ শুক্রবার গুয়াহাটিতে অবস্থিত বেসরকারি নেমকেয়ার হাসপাতালে বেলা ২:১৫ মিনিট নাগাদ মাত্র ৪৪ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন বহু অসমীয়া ছায়াছবির নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী গায়ত্রী। তিনি দুরারোগ্য ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি রেখে গেছেন স্বামী, দুই সন্তান এবং অসংখ্য অনুরাগী।
জানা গেছে, মাত্ৰ পাঁচ মাস আগে তিনি কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন বলে ধরা পড়েছিল। তাঁর মৃত্যুতে অসম জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কণ্ঠশিল্পী গায়ত্ৰী হাজরিকার অকালমৃত্যুতে শোকস্তব্ধ অনুরাগী তথা রাজ্যের সাংস্কৃতিক জগত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনপ্রিয় শিল্পীকে শ্রদ্ধার বন্যা বইছে। এক্স হ্যান্ডলে ভক্তরা তাঁকে ‘বিরল প্রতিভা’, ‘জনগণের কণ্ঠস্বর’ হিসেবে বর্ণনা করে বহু কথা লিখছেন।
অসমের সাংস্কৃতিক ও সংগীত জগতে অবাধ বিচরণকারিণী জনপ্রিয় গায়িকা গায়ত্রী হাজরিকা ঐতিহ্যবাহী অসমীয়া সুরের সাথে সমসাময়িক শব্দের মিশ্রণের জন্য সম্মানিত হয়েছেন। 'সরা পাতে পাতে ফাগুন নামে' শীৰ্ষক গান গেয়ে তিনি ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছিলেন। এছাড়া 'রাতি রাতি মর ঝুন', 'ওহর দোরে উভতি আতরি গোলা', ‘জোনাক নাছিল বনত’, ‘আবেলির হেঙুলি আকাশে’, ‘যেতিয়া জোনাক নামিছিল’, ‘মাথো এজাক বরষুণ’, ‘তোমালৈ মোর মরম’-এর মতো অন্যান্য বহু জনপ্রিয় গান তিনি উপহার দিয়ে গিয়েছেন।
জনপ্ৰিয় অসমীয়া চলচ্চিত্ৰ ‘রত্নাকর’-এ ‘রাতি রাতি’ শীৰ্ষক গানে কণ্ঠদান করেছিলেন গায়ত্ৰী হাজরিকা। এছাড়া জনপ্ৰিয় ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’ সহ বহু ছায়াছবিতে কণ্ঠদান করে রাজ্যবাসীর কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিলেন গায়ত্রী।
উইঙ্ক মিউজিক এবং গানার মতো মিউজিক স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তাঁর ভক্তের সংখ্যা দেশব্যাপী বিস্তৃত হয়েছে। প্ল্যাব্যাক গান ছাড়াও গায়ত্ৰী হাজরিকা তাঁর শক্তিশালী লাইভ পারফর্মেন্সের জন্য বিখ্যাত হয়েছিলেন। অসম জুড়ে তিনি যেখানে লাইভ পারফর্মেন্সের জন্য যেতেন, সেখানে দর্শকদের ভিড় উপচে পড়ত।
হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস