স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সাতচাঁদ ব্লক
সাব্রুম (ত্রিপুরা), ১৬ মে (হি.স.) : পাহাড়ি জনপদে একদিনের টানা বৃষ্টিই কখনও কখনও বদলে দিতে পারে গোটা জীবনের ছবি। এমনই এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে গিয়েছিল ত্রিপুরা রাজ্য গত বছরের আগস্টে। সেই স্মৃতি এখনো সতেজ সাতচাঁদ আরডি ব্লকের অনেক গ্রামের মানুষ
সাতচাঁদ ব্লক


সাব্রুম (ত্রিপুরা), ১৬ মে (হি.স.) : পাহাড়ি জনপদে একদিনের টানা বৃষ্টিই কখনও কখনও বদলে দিতে পারে গোটা জীবনের ছবি। এমনই এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে গিয়েছিল ত্রিপুরা রাজ্য গত বছরের আগস্টে। সেই স্মৃতি এখনো সতেজ সাতচাঁদ আরডি ব্লকের অনেক গ্রামের মানুষের মনে। রাস্তা ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, পানীয় জলের অভাব এবং জরুরি সেবার অনুপস্থিতি— এসবই ছিল নিত্যসঙ্গী। কিন্তু আশার কথা, সেই অন্ধকারের মাঝেই জ্বলছে আলোর রেখা।

শুক্রবার দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার সাতচাঁদ আরডি ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অনুপম দাস পরিদর্শন করলেন গত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে আরডি দপ্তরের মাধ্যমে পরিচালিত গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নমূলক কর্মসূচি।

ফুলছড়ি, দক্ষিণ ভুরাতলি এবং উত্তর কলাঢেবা— এই তিনটি এলাকা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। একসময় যেখানে মানুষের চলাচল ছিল সম্পূর্ণ বন্ধ, আজ সেখানে নতুন সিসি রোড নির্মাণের কাজ জোর কদমে চলছে এমজিএম প্রকল্পের অধীনে। এই রাস্তাগুলোর অগ্রগতি ও গুণমান স্বচক্ষে খতিয়ে দেখেন আধিকারিক।

শুধু রাস্তাই নয়, আধিকারিক পরিদর্শন করেন বিদ্যালয়ে পানীয় জলের ব্যবস্থাও— যা বাস্তবায়িত হচ্ছে গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের মাধ্যমে। শিশুদের সুস্থতা ও শিক্ষার পরিবেশ উন্নয়নে এটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ।

পরিদর্শনের শেষে সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অনুপম দাস জানান, যেভাবে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল, সেভাবেই কাজ সম্পন্ন হচ্ছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন গ্রামগুলিকে পুনরায় যুক্ত করা হয়েছে রাস্তাঘাট নির্মাণের মাধ্যমে।

প্রকৃতির রোষে ক্ষতবিক্ষত হলেও, প্রশাসনের সদিচ্ছা ও জনশ্রমের সম্মিলিত চেষ্টায় ঘুরে দাঁড়াচ্ছে সাতচাঁদ ব্লকের গ্রামগুলি। বৃষ্টির মতই অবিরাম এই উন্নয়ন হোক আগামী দিনের পাথেয়— এই বার্তা নিয়ে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডগুলি আরো ত্বরান্বিত করার আদেশ দেন সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক।

হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ




 

 rajesh pande