পেঁচারথল (ত্রিপুরা), ২১ মে (হি.স.) : কাশ্মীরের পহেলগামে ২২শে এপ্রিল ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনায় ২৬ জন নিরীহ পর্যটক পাকিস্তানি মদতপুষ্ট জঙ্গিদের হাতে নিহত হন। এই বর্বরোচিত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এবং সাম্প্রতিক অপারেশন সিঁদুর এ ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাফল্যে গর্ব প্রকাশ করে এক বিশাল তিরঙ্গা যাত্রার আয়োজন করা হয় উত্তর ত্রিপুরার পেঁচারথল বিধানসভা কেন্দ্রে। একইসঙ্গে দেশরক্ষায় আত্মনিয়োগকারী ভারতমাতার বীর সেনানীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয় এই কর্মসূচির মাধ্যমে।
বুধবার বিকেলে পেঁচারথল বাজার এলাকা থেকে সূচনা হয় এই তিরঙ্গা যাত্রার, যা বাজার চত্বর থেকে শুরু হয়ে রাজপথ পরিক্রমা করে শান্তিপুর হয়ে পুনরায় বাজার এলাকায় ফিরে এসে সম্পন্ন হয়। জাতীয়তাবাদী আবহে পরিব্যাপ্ত এই যাত্রায় ত্রিবর্ণ পতাকার উচ্ছ্বাসে মুখর হয়ে ওঠে গোটা অঞ্চল।
এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন পেঁচারথল বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা রাজ্য সরকারের মন্ত্রী সান্তনা চাকমা। তিনি বলেন, “কাশ্মীরে যারা নিরীহ ভারতবাসীর রক্ত ঝরিয়েছে, তারা শুধু দেশেরই নয়, মানবতার শত্রু। ভারতীয় সেনার অসীম সাহসিকতা ও অপারেশন সিন্দুরে সাফল্য আমাদের গর্বিত করেছে। আমরা সেনাবাহিনীর পাশে আছি। একইসাথে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশ আজ নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এক নতুন উচ্চতায়।”
তিরঙ্গা যাত্রায় অংশগ্রহণ করেন এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবী রাজীব চাকমা, মীরা রায়, অনুরূপা দেওয়ান সহ প্রায় দেড় হাজারেরও বেশি নারী। মাতৃশক্তির এই ব্যাপক উপস্থিতি কর্মসূচিকে আরও তাৎপর্যপূর্ণ করে তোলে। অংশগ্রহণকারীরা হাতে জাতীয় পতাকা ও ব্যানার-প্ল্যাকার্ড নিয়ে দেশপ্রেমের জোয়ারে গলা মিলিয়েছেন “ভারত মাতা কি জয়”, “বীর জওয়ান অমর রহে”-র মতো স্লোগানে।
এই কর্মসূচির মাধ্যমে যেমন একদিকে প্রতিবাদ জানানো হল পাকিস্তানি জঙ্গি নৃশংসতার বিরুদ্ধে, তেমনই অন্যদিকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হল সেনার সাফল্য এবং প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের প্রতি। পেঁচারথল অঞ্চলে এ ধরনের দেশপ্রেম ভিত্তিক জনসমাগম এই প্রথম, যা নিঃসন্দেহে আগামী প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ