গণ্ডাছড়া (ত্রিপুরা), ৭ মে (হি.স.) : দেশের অন্যান্য রাজ্যের সাথে বুধবার ত্রিপুরায়ও অনুষ্ঠিত হয়েছে মক ড্রিল। রাজধানী আগরতলা শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত মহকুমা গন্ডাছড়ায়ও মক ড্রিল অনুষ্ঠিত হয়।
ধলাই জেলার গণ্ডাছড়া মহকুমার অন্তর্গত কবিগুরু স্মৃতি দ্বাদশমান বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে এবং মহকুমা শাসকের অফিস কর্মীদের কোয়ার্টারে থেমে থেমে পর পর বেশ কয়েকটি শক্তিশালী বোমা আছড়ে পড়ে। ফলে উক্ত ঘটনায় ক্ষণিকের মধ্যে গোটা গণ্ডছড়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বোমার বিকট শব্দে মহকুমা শাসকের অফিস সহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়।
প্রথম ঘটনাটি ঘটে বুধবার বিকাল ৪টায়। মহকুমা শাসক অফিস কর্মীদের দ্বিতল বিশিষ্ট কোয়ার্টারে। বোমার আঘাতে কোয়ার্টারের দালান বাড়ির বেশ ক্ষতি হয়। দ্বিতলে মহিলা সহ বেশ কয়েকজন কর্মী আটকা পড়ে চিৎকার শুরু করেন। সংবাদ পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় অগ্নি নির্বাপক দপ্তর, পুলিশ, টিএসআর, বিএসএফ, সিভিল ডিফেন্স, গণ্ডাছড়া দ্বাদশের এনএসএস ইউনিট। কবিগুরু স্মৃতি বিদ্যালয়ের এনএসএস ইউনিট, বিদ্যুৎ দপ্তর, স্বাস্থ্য দপ্তর সহ সব কয়টি লাইন ডিপার্টমেন্ট -এর কর্মকর্তারা।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েই সকলে উদ্ধার কাজে হাত লাগায়। এসডিএম কোয়ার্টার থেকে দশ জনকে গুরতর আহত অবস্থায় অস্থায়ী চিকিৎসা শিবির রাইমা সাইমা কলক্ষেত্র টাউন হল -এ পৌঁছায় উদ্ধার কর্মীরা।এসডিএম কোয়ার্টারের আহতদের উদ্ধারের কাজ সম্পন্ন করার সঙ্গে সঙ্গেই সরমা এলাকার কবিগুরু স্মৃতি বিদ্যা ভবনের ছাত্রাবাসে আছড়ে পড়ে পর পর তিনটি বোমা। প্রায় শতাধিক উদ্ধার কর্মীরা সঙ্গে সঙ্গেই পৌঁছে যায় ঘটনাস্থলে। ছাত্রাবাস থেকেও উদ্ধার করা হয় বেশ কয়েক জন ছাত্রকে। উক্ত ঘটনায় দিশাহীন হয়ে পড়ে এসডিএম চন্দ্রজয় রিয়াং। গোটা গন্ডাছড়া মহকুমায় থমথমে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
গোটা ঘটনাটি ছিল শুধুমাত্র জাতীয় মক ড্রিল -এর একটি অংশ। বর্তমানে ভারত -পাকিস্তানের চলমান আবহকে কেন্দ্র করে ৭ মে গোটা দেশে জাতীয় মক ড্রিল -এর নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। তারই অঙ্গ হিসাবে ধলাই জেলা শাসকের নির্দেশে বুধবার ওই মক ড্রিল -এর আয়োজন করেন এসডিএম চন্দ্রজয় রিয়াং। তবে সকলের সহযোগীতায় সুন্দর ভাবেই সম্পন্ন হয়েছে বুধবারের ওই মক ড্রিল। মক ড্রিলটি পরিচালনা করেন ডিসিএম দিলীপ দেব্বর্মা এবং বিএসএফ -এর এসিস্টেন্ট কমান্ডেন্ট সোলাঙ্কি।
হিন্দুস্থান সমাচার / Subhash Chandra Das