নদিয়ায় গ্রেফতার এক দালাল ও ১৫ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী
নদিয়া, ৯ মে (হি.স.): বৃহস্পতিবার রাতে নদিয়ার ধানতলা সীমান্ত এলাকা থেকে ১৫ জন অনুপ্রবেশকারীকে ধরা হয়েছে। তাদের সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছে ভারতীয় এক দালালও। শুক্রবার ধৃতদের আদালতে তোলা হয়। গভীর রাতে নদিয়ার ধানতলা থানার দত্তপুলিয়া জিপির বারানবেরিয়া নিরালা
নদিয়ায় গ্রেফতার এক দালাল ও ১৫ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী


নদিয়া, ৯ মে (হি.স.): বৃহস্পতিবার রাতে নদিয়ার ধানতলা সীমান্ত এলাকা থেকে ১৫ জন অনুপ্রবেশকারীকে ধরা হয়েছে। তাদের সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছে ভারতীয় এক দালালও। শুক্রবার ধৃতদের আদালতে তোলা হয়।

গভীর রাতে নদিয়ার ধানতলা থানার দত্তপুলিয়া জিপির বারানবেরিয়া নিরালাপাড়া এলাকায় হানা দেয় পুলিশ। তদন্তকারীদের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে, কয়েকজন সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ যাওয়ার চেষ্টা করছে। এরপরই ধানতলা থানার পুলিশ সেখানে হানা দেয়। ভারতীয় এক দালাল-সহ মোট ১৬ জনকে ধরা হয়।

সূত্রের খবর, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এদেশের কোনও বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। চাপ দিতেই জানা যায়, কয়েক মাস আগে নদিয়ার সীমান্ত দিয়েই দালালের মাধ্যমে তারা এদেশে অনুপ্রবেশ করেছিল। এরপর তারা দেশের পশ্চিমের কোনও রাজ্যে কাজের জন্য চলে গিয়েছিল। যুদ্ধ আবহে তারা সেখান থেকে নদিয়ায় ফিরে আসে। ফের সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ যাওয়ার চেষ্টা করছিল তারা। এবার আর সেই পরিকল্পনা বাস্তব হল না।

ধৃতরা কী সত্যিই বলছে? নাকি তারা নাশকতামূলক কাজের সঙ্গে জড়িত? কোন রাজ্যে তারা ছিল? একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। ধৃতদের প্রাথমিক জেরা করেছে পুলিশ। শুক্রবার ধৃতদের রানাঘাট বিচার বিভাগীয় আদালতে তোলা হয়। ধৃতদের আরও জেরার প্রয়োজন বলে পুলিশ জানায়।

দিন কয়েক আগে নদিয়ায় হাঁসখালি এলাকা থেকে একাধিক অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। অনুপ্রবেশকারীদের ধরতে আরও কড়া নজর রাখা হচ্ছে। সেই কথা জানানো হয়েছে। দালালদের খোঁজেও তল্লাশি চলছে।

পহেলগাঁও জঙ্গিহানায় ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যুর পর থেকেই ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছিল। এই মুহূর্তে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের আবহ। পাকিস্তানি জঙ্গি কোনওভাবে যাতে সীমান্ত পেরিয়ে না আসতে পারে, সেজন্য কড়া নজরদারি চলছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকাতেও নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে এতজন অনুপ্রবেশকারী গ্রেফতারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / অশোক সেনগুপ্ত




 

 rajesh pande