পাকিস্তানে বন্দি বাংলার জওয়ান, উৎকণ্ঠায় রিষড়া ও দুর্গাপুরের পরিবার
দুর্গাপুর, ৯ মে (হি.স.) : পহেলগাঁও হামলার পর সীমান্ত উত্তেজনার আবহে এখনও পাকিস্তানে বন্দিদশায় রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম কুমার সাউ। তাঁর ঘরে ফেরা ঘিরে উৎকণ্ঠা বাড়ছে রিষড়ার পৈতৃক ভিটে এবং দুর্গাপুরের শ্বশুরবাড়িতে। জানা গেছে, ফিরোজপু
পাকিস্তানে বন্দি বাংলার জওয়ান, উৎকণ্ঠায় রিষড়া ও দুর্গাপুরের পরিবার


দুর্গাপুর, ৯ মে (হি.স.) : পহেলগাঁও হামলার পর সীমান্ত উত্তেজনার আবহে এখনও পাকিস্তানে বন্দিদশায় রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম কুমার সাউ। তাঁর ঘরে ফেরা ঘিরে উৎকণ্ঠা বাড়ছে রিষড়ার পৈতৃক ভিটে এবং দুর্গাপুরের শ্বশুরবাড়িতে। জানা গেছে, ফিরোজপুর সেক্টরে কিষাণ গার্ডের দায়িত্বে ছিলেন পূর্ণম কুমার। কর্তব্যরত অবস্থায় অসাবধানতাবশত আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করে পাকিস্তানে ঢুকে পড়েন তিনি। একটি গাছের নিচে বিশ্রাম নিতে গিয়েই ঘটে এই ভুল। সঙ্গে সঙ্গেই পাক রেঞ্জার্স তাঁকে আটক করে।

জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঠিক পরেই এই ঘটনায় দেশজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। ভারতীয় সেনার তরফে ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের অনুরোধ জানানো হলেও পাকিস্তান তাতে কোনও সাড়া দেয়নি। এদিকে পূর্ণম কুমারের রিষড়ার বাড়িতে রয়েছেন তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রজনী, বৃদ্ধ বাবা-মা ও সাত বছরের সন্তান। উদ্বেগ-অস্থিরতায় দিন কাটছে তাঁদের। স্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী, স্বামীর খোঁজে তিনি স্বয়ং কর্মস্থলে পৌঁছে বিএসএফ কর্তাদের সঙ্গে দেখা করে আশ্বাস নিয়ে ফিরে এসেছেন।

দুর্গাপুরের ৪/১৭ ট্রাঙ্ক রোডের শ্বশুরবাড়িতেও চাপা উৎকণ্ঠা। শুক্রবার জওয়ানের স্ত্রীর বৌদি রাণী গুপ্তা বলেন, “শুনেছিলাম জামাইকে ছেড়ে দেওয়া হবে। তাতে কিছুটা আশ্বস্ত হয়েছিলাম। কিন্তু অপারেশন সিঁদুরের পরও যখন ওর মুক্তি হল না, তখন ভীষণ দুশ্চিন্তা হচ্ছে। আমরা চাই, ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসুক।”

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / জয়দেব লাহা




 

 rajesh pande