বিলোনিয়া (ত্রিপুরা), ৯ মে (হি.স.) : শুক্রবার পঁচিশে বৈশাখ। কবিগুরুর জন্মবার্ষিকী। দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার বিলোনিয়াতেও সাড়ম্বরে পালিত হল বরেণ্য কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী। বিলোনিয়া তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর এবং পুর পরিষদের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত হয় রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী। বিলোনিয়া শিশু উদ্যান পার্কে বটবৃক্ষের নিচে অনুষ্ঠিত হয় রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠান।
শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ অতিথিরা প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। এরপর শিশু উদ্যান পার্কস্থিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মর্মর মূর্তিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিলোনিয়া পুর পরিষদের চেয়ারম্যান নিখিল চন্দ্র গোপ, পুর পরিষদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর অনুপম চক্রবর্তী, দক্ষিণ জেলা দায়রা আদালতের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আশীষ পাল, কলকাতা থেকে আগত রবীন্দ্র অনুরাগী সহ অন্যান্য অতিথিরা।
শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে উদ্ধোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী পিনাকি নাগ ও পারমিতা সাহা নাগ। এরপর অতিথিরা রবীন্দ্রনাথের ভাবনার ও তাঁর লেখনি যে আজও প্রাসঙ্গিক তা তুলে ধরেন। এরপর সবুজ কন্ঠ, সৃজন ডান্স একাডেমি, কলাবিতান, রুমঝুম নৃত্য কলাক্ষেত্র ও রিডভান একাডেমির ছাত্রছাত্রীদের রবীন্দ্র সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশনা শিশু উদ্যানের রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানের মঞ্চ মাতিয়ে তুলে।
প্রসঙ্গত, রবীন্দ্রজয়ন্তী শুধুমাত্র বিশ্বকবির জন্মদিন নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক উৎসব, সংস্কৃতির ধারক ও বাহকের জন্মদিন। এই দিনে বাংলা সাহিত্যের পাঠ, রবীন্দ্রসঙ্গীত, কবিতাপাঠ, আবৃত্তি, নাট্য পরিবেশনা, চিত্রকলা এবং নৃত্যনাট্যের মাধ্যমে বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদানকে স্মরণ করা হয়। সারা বিশ্বের বাংলা ভাষাভাষীদের মধ্যে দিনটি এক বিশেষ আবেগের সঙ্গে উদযাপিত হয় রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী।
উল্লেখ্য, আধুনিক প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়েও রবীন্দ্রনাথের লেখনি, গান, কবিতা ও সাহিত্য, গল্প প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে রবীন্দ্রনুরাগীদের মধ্যে। তাই প্রতিবছর রবীন্দ্রনাথের গানে, গল্পে, কবিতা ও নৃত্যানুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রাজ্যজুড়ে উদযাপন করা হয় পঁচিশে বৈশাখ। পঁচিশে বৈশাখ মানে বিশ্ব বরেণ্য কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন।
হিন্দুস্থান সমাচার / Subhash Chandra Das