আগরতলা, ৯ মে (হি.স.) : অন্যান্য বছরের মতো এবছর পঞ্চম ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে চলেছে 'গুড্ডিবাজ' সংগঠন।আগামী ১৭ এবং ১৮ মে বাধারঘাটের মাতৃপল্লীর কৃষি মাঠে এই ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার আগরতলায় সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানান 'গুড্ডিবাজ' সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা কৌশিক সমাজপতি।
একসময়ে কিশোরদের কাছে অন্যতম আকর্ষণীয় খেলা ছিল ঘুড়ি উড়ানো। মাঞ্জা করা সুতো দিয়ে নাটাইয়ের সাহায্যে রংবেরঙের ঘুড়ি উড়াতো কিশোররা। প্রযুক্তির হাত ধরে এখন মোবাইল চলে আসায় বর্তমানে প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে কিশোরদের এই ঘুড়ি উড়ানোর আনন্দ। এই ঘুড়ি উড়ানো বিষয়টিকে আবার ফিরিয়ে আনতে লকডাউনের সময় থেকে রাজধানীতে ঘুড়ি উড়ানোর প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে 'গুড্ডিবাজ' নামে একটি সংস্থা। এবছর পঞ্চম বর্ষে পদার্পণ করবে 'গুড্ডিবাজ'র এই ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগিতা।
আগামী ১৭ এবং ১৮ মে রাজধানীর বাধারঘাটের মাতৃপল্লী কৃষি মাঠে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিযোগিতায় যোগদানের জন্য ১০ মে শনিবার পর্যন্ত নাম নথিভুক্ত করা যাবে।এর জন্য এন্ট্রি ফি লাগবে ৬০০ টাকা। কিভাবে অনুষ্ঠিত হবে এই ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগিতা। জয় পরাজয় কিভাবে নির্ধারিত হয়। এদিন আগরতলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এর বিস্তারিত তুলে ধরেন 'গুড্ডিবাজ' সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা কৌশিক সমাজপতি।
তিনি জানান, প্রতিটি প্রতিযোগিতায় দুজন করে ঘুড়ি উড়াবেন। তাদের ১০ মিনিট করে সময় দেওয়া হবে। এই ১০ মিনিটের মধ্যে কাটাকাটির পর যার ঘুড়ি আকাশে টিকে থাকবে তাকেই বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হবে। সাংবাদিক সম্মেলনে কৌশিক সমাজপতি আরো জানান, প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় জনকে পুরস্কৃত করা হবে।এছাড়া থাকবে ম্যান অফ দ্যা সিরিজ পুরস্কার। প্রথম পুরস্কার ১০০০০ টাকা এবং ট্রফি। দ্বিতীয় পুরস্কার ৭০০০ টাকা ও ট্রফি এবং তৃতীয় পুরস্কার ট্রফি এবং ৫০০০ টাকা। টুর্নামেন্টে ম্যান অফ দ্যা সিরিজ প্রাপককে ৩০০০ হাজার টাকা ও ট্রফি প্রদান করা হবে ।
এদিন গুড্ডি বাজের প্রতিষ্ঠাতা আরো জানান, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের সংগঠনের পক্ষ থেকে সুতো দেওয়া হবে এবং প্রতিযোগীরা এই সুতোয় নিজ হাতে মাঞ্জা দেবেন। প্রতিযোগিতায় চীনা মাঞ্জা দেওয়া সুতো ব্যবহার করা যাবে না। প্রতিবছরই এই ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগিতাকে ঘিরে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। এ বছর এর ব্যতিক্রম হবে না বলে আশা করেন 'গুড্ডিবাজ'র প্রতিষ্ঠাতা কৌশিক সমাজপতি।
হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ