সর্বাঙ্গীন সুস্বাস্থ্যের জন্য যোগব্যায়াম করতে সকলের প্রতি আবেদন অসমের রাজ্যপাল লক্ষ্মণপ্রসাদের
গুয়াহাটি, ২১ জুন (হি.স.) : মানুষের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল, পরিবেশগত ভারসাম্য এবং স্বাস্থ্যের জন্য যোগব্যায়াম করতে যুবসমাজ সহ সকলকে আবেদন জানিয়েছেন অসমের রাজ্যপাল লক্ষ্মণপ্রসাদ আচার্য। আজ শনিবার ক্রীড়া ভারতীর সহযোগিতায়, গুয়াহাটির পল্টনবাজারে অবস্থিত স্প
বহুজনের সঙ্গে যোগাভ্যাস রাজ্যপাল লক্ষ্মণপ্রসাদ আচার্যের


যোগাভ্যাস রাজ্যপাল লক্ষ্মণপ্রসাদ আচার্যের


সাই-এর আঞ্চলিক কেন্দ্র চত্বরে গাছের চারা রোপণ করেছেন রাজ্যপাল


বক্তব্য পেশ করছেন রাজ্যপাল লক্ষ্মণপ্রসাদ আচার্য


গুয়াহাটি, ২১ জুন (হি.স.) : মানুষের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল, পরিবেশগত ভারসাম্য এবং স্বাস্থ্যের জন্য যোগব্যায়াম করতে যুবসমাজ সহ সকলকে আবেদন জানিয়েছেন অসমের রাজ্যপাল লক্ষ্মণপ্রসাদ আচার্য।

আজ শনিবার ক্রীড়া ভারতীর সহযোগিতায়, গুয়াহাটির পল্টনবাজারে অবস্থিত স্পোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়া (সাই)-র আঞ্চলিক কেন্দ্রের মাঠে একাদশ আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উপলক্ষ্যে অন্য বহুজনের সঙ্গে যোগাভ্যাস করেছেন অসমের রাজ্যপাল লক্ষ্মণপ্রসাদ আচার্য।

বেশ কয়েকজন ক্রীড়া প্রতিনিধি, যোগ প্রশিক্ষক, উৎসাহী যুবক এবং সাধারণ জনগণের অংশগ্রহণে আয়োজিত আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে বক্তৃতা পেশ করতে গিয়ে রাজ্যপাল আচার্য আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, ভারতের প্রাচীন ঐতিহ্য উদযাপনকারী বিশ্বব্যাপী আন্দোলনের অংশ হতে পেরে তিনি দুর্দান্ত অনুভব করেছেন। শ্রীমদ্ভগবদগীতার উদ্ধৃতি দিয়ে রাজ্যপাল বলেন, ‘যোগঃ কর্মসু কৌশলম’, মানে ‘যোগ কর্মে শ্রেষ্ঠত্ব।’ তিনি জোরের সঙ্গে বলেন, যোগব্যায়াম শুধুমাত্র শারীরিক স্বাস্থ্যই বাড়ায় না, বরং শৃঙ্খলা, মনোযোগ এবং আত্মনির্ভরশীলতাও গড়ে তুলে।

রাজ্যপাল বলেন, যোগা মন ও শরীরের মধ্যে সামঞ্জস্য এনে চিন্তা ও কর্মের মধ্যে ভারসাম্য আনে। তিনি আদি যোগী ভগবান শিব, মহর্ষি পতঞ্জলি এবং ঋগবেদ, উপনিষদ এবং ভগবদগীতার মতো প্রাচীন গ্রন্থগুলির অবদানের উল্লেখ করে ভারতের আধ্যাত্মিক এবং দার্শনিক ঐতিহ্যে যোগের গভীর-মূল উত্তরাধিকারকে তুলে ধরেন।

তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দূরদর্শী ভূমিকাকে স্বীকার করে বলেন, তাঁর উদ্যোগে রাষ্ট্রপুঞ্জ ২০১৪ সালে ২১শে জুনকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে গ্রহণ করেছে। যার ফলে এই প্রাচীন ভারতীয় জ্ঞান ব্যবস্থাকে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

এ বছরের থিম ‘এক পৃথিবী, এক স্বাস্থ্যের জন্য যোগ’-এর তাৎপর্য তুলে ধরে বলেছেন, এর দ্বারা মানুষের মঙ্গল, পরিবেশগত ভারসাম্য এবং গ্রহস্বাস্থ্যের আন্তঃসম্পর্ককে প্রতিফলিত করে।

আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে রাজ্যপাল সাই-এর আঞ্চলিক কেন্দ্র চত্বরে একটি গাছের চারা রোপণ করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বৃক্ষরোপণ অভিযানের মতো পরিবেশগত কার্যকলাপের অন্তর্ভুক্তি শুধুমাত্র অভ্যন্তরে নয়, প্রকৃতির সাথেও যোগের সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দেয়। তিনি যুবসমাজকে সুস্থ ও ভারসাম্যপূর্ণ শরীর, মন এবং আত্মার জন্য এগিয়ে যাওয়ার উপায় হিসেবে যোগব্যায়াম অনুশীলন করার আহ্বান জানান। প্রতিদিনের জীবনে যোগব্যায়ামকে একীভূত করতে বলে রাজ্যপাল বলেন, একদিনের যোগদিবস পালন নয়, আজীবন যোগা অনুশীলন করা উচিত।

অনুষ্ঠানে অন্য বহুজনের সঙ্গে যোগাভ্যাস করেছেন গুয়াহাটির সাসংদ বিজুলি কলিতা মেধি, স্পোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়ার গুয়াহাটি আঞ্চলিক কেন্দ্রের নির্বাহী অধিকর্তা ডিকে মিত্তাল, পর্যটন মন্ত্রকের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল আরকে সুমন, ক্রীড়া ভারতীর উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মনোজকুমার মোহান্তি, ক্রীড়াবিদ, যোগ প্রশিক্ষকবৃন্দ।

হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস




 

 rajesh pande