জরুরি অবস্থা গণতন্ত্রের একটি কালো অধ্যায়, যা দেশ ভুলে যায় নি : অমিত শাহ
নয়াদিল্লি, ২৫ জুন (হি.স.): জরুরি অবস্থা ছিল ভারতীয় গণতন্ত্রের সবচেয়ে কালো অধ্যায়, যা দেশ ভুলে যায় নি বলে মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দেশে জরুরি অবস্থা লাগু হওয়ার ৫০ বছর পূর্ণ হওয়ার উপলক্ষে বুধবার দিল্লির ত্যাগরাজ স্পোর্
জরুরি অবস্থা গণতন্ত্রের একটি কালো অধ্যায়, যা দেশ ভুলে যায় নি : অমিত শাহ


নয়াদিল্লি, ২৫ জুন (হি.স.): জরুরি অবস্থা ছিল ভারতীয় গণতন্ত্রের সবচেয়ে কালো অধ্যায়, যা দেশ ভুলে যায় নি বলে মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দেশে জরুরি অবস্থা লাগু হওয়ার ৫০ বছর পূর্ণ হওয়ার উপলক্ষে বুধবার দিল্লির ত্যাগরাজ স্পোর্টস কমপ্লেক্সে আয়োজিত সংবিধান হত্যা দিবস'-এর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখছিলেন অমিত শাহ। শাহ বলেন, ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন রাতে জারি করা জরুরি অবস্থা সংবিধানের আত্মাকে পদদলিত করার জন্য কাজ করেছিল। দেশকে কারাগারে পরিণত করা হয়েছিল, বিচার বিভাগকে নীরব করে দেওয়া হয়েছিল এবং সংবাদপত্রের সাংবাদিকদের কলম থেকে কালি কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। সেই কারণেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই দিনটিকে 'সংবিধান হত্যা দিবস'' হিসেবে উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী মোদীর লেখা 'দ্য ইমার্জেন্সি ডায়েরিজ: ইয়ার দ্যাট ফোর্জড আওয়ার লিডার্স' বইটিও প্রকাশিত হয়েছে। শাহ আরও বলেন, এই বইটি জরুরি অবস্থার সময় ২৪-২৫ বছর বয়সী যুবক সংঘ প্রচারক হিসেবে নরেন্দ্র মোদীর প্রচেষ্টা, যেমন আন্ডারগ্রাউন্ড সংগ্রাম, মিসা বন্দিদের সাহায্য করা এবং গোপনে সংবাদপত্র বিলি করা।

অমিত শাহ বলেন, জরুরি অবস্থার সময় কংগ্রেস সরকার একটি ধারণা প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছিল - দেশের চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে বড় পরিবার এবং পরিবারের চেয়ে বড় ব্যক্তি। শাহ বলেন, ইতিহাস কেবল ঘটনাবলী বলে না, বরং উদ্দেশ্য এবং দৃষ্টিভঙ্গিও প্রকাশ করে। সংবিধান প্রণেতা ডঃ ভীমরাও আম্বেদকরের চিন্তাভাবনার পর সংবিধান রচনায় তাঁর চেতনাকে মাত্র একটি বাক্যে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হয়েছিল - রাষ্ট্রপতি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।

এদিনের অনুষ্ঠানে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিনয় সাক্সেনা, মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্ত, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত, অশ্বিনী বৈষ্ণব এবং হিন্দুস্থান সমাচার বহুভাষিক সংবাদ সংস্থার গ্রুপ সম্পাদক রাম বাহাদুর রাই সহ অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / পাপিয়া




 

 rajesh pande