হাফলং (অসম), ২৬ জুন (হি.স.) : ১৯৭৫ সালের ২৫ জন দেশে যে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল তা ভারতের ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়, মন্তব্য অসম প্রদেশ বিজেপি নেতা বিজয় গুপ্তা।
আজ বৃহস্পতিবার হাফলঙে অটলবিহারী বাজপেয়ী ভবনে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন ভারতীয় সংবিধানের ৩৫২ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করে দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। জরুরি অবস্থা বলবৎ ছিল ১৯৭৭ সালের ২১ মার্চ পর্যন্ত ২১ মাস। ওই একুশ মাস মানবধিকার লঙ্ঘন করে প্ৰায় দেড় লক্ষ মানুষকে জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছিল।
জরুরি অবস্থায় নামে বিরোধী রাজনৈতিক নেতা ও দশ হাজার আরএসএস-এর বরিষ্ঠ পদাধিকারী, কার্যকর্তা এবং স্বয়ংসেবককে গ্রেফতার করে জেলে বন্দি করে রেখেছিলেন ইন্দিরা গান্ধী।
গুপ্তা বলেন, জরুরি অবস্থায় মানবধিকার লঙ্ঘন করে ন্যায়পালিকার ওপর অত্যাচার, সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা ও মূল্যবোধগুলিকে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। এর পর থেকে প্রতি বছর জরুরি অবস্থার বর্ষপূর্তিতে সংবিধান হত্যা দিবস ও গণতন্ত্র হত্যা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
তিনি বলেন, জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর ইন্দিরা গান্ধী সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা বিলুপ্ত করা এবং ন্যায়পালিকার ওপর নিয়ন্ত্রণ ও মূল্যবোধগুলিকে বিলুপ্ত করেছিলেন। সে সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর যে মানসিকতা ছিল, এখন সেই মানসিকতা দেখা যাচ্ছে রাহুল গান্ধীর মধ্যেও, বলেন বিজেপি নেতা বিজয় গুপ্তা।
বিজয় গুপ্তা বলেন, ইন্দিরা গান্ধী যেভাবে বিদেশি শক্তির অপব্যবহার করতেন, ঠিক সেভাবে রাহুল গান্ধীও কংগ্রেস পার্টির হয়ে বিদেশি শক্তির মাধ্যমে ভারতের সংবিধানকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন, ভারতের গণতন্ত্র ও ভারতের সর্বোচ্চ সংস্থার বিরুদ্ধে প্রশ্নচিহ্ন তুলে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ মন্ত্রী নন্দিতা গার্লোসা, ডিমা হাসাও জেলা বিজেপি সভাপতি ধৃতি থাওসেন, সহ-সভাপতি লিটন চক্রবর্তী, উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের কার্যনির্বাহী সদস্য ধনপাইনন থাওসেন প্রমুখ।
হিন্দুস্থান সমাচার / বিশাখা দেব