রথযাত্রায় ভিড় নিয়ে চাপানউতোর, বাদ সাধল ঝিরঝিরে বৃষ্টি
নিউ দিঘা, ২৭ জুন (হি. স.): শুক্রবার তেমন জমল না সাগরপাড়ের রথযাত্রা। ৭ দিনের জন্য মাসির বাড়িতে সুসজ্জিত রথে চেপেই পৌঁছে গেলেন জগন্নাথ - বলরাম ও সুভদ্রা। তিনটি রথের নাম - নন্দীঘোষ, দলধবজ ও দর্পদলন - এই তিনটি রথের রশিতেই স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী হাত লাগিয়
রথযাত্রায় ভিড় নিয়ে চাপানউতোর, জমল না প্রথম রথযাত্রা


নিউ দিঘা, ২৭ জুন (হি. স.): শুক্রবার তেমন জমল না সাগরপাড়ের রথযাত্রা। ৭ দিনের জন্য মাসির বাড়িতে সুসজ্জিত রথে চেপেই পৌঁছে গেলেন জগন্নাথ - বলরাম ও সুভদ্রা। তিনটি রথের নাম - নন্দীঘোষ, দলধবজ ও দর্পদলন - এই তিনটি রথের রশিতেই স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী হাত লাগিয়ে টানলেন। প্রথমতঃ দুর্যোগ পূর্ণ আবহাওয়া দায়ী। আকাশে মেঘ। রোদ ওঠে নি। ঝিরঝিরে বৃষ্টি ও হাওয়া। প্রতিকূল পরিবেশ সামাল দিতে অনেকেই নিজেকে ঘরবন্দী করে রাখেন। দ্বিতীয়তঃ রথের শোভাযাত্রা বের হলেও নিরাপত্তার খাতিরে কাউকে কাছে ঘেঁষতেই দেয় নি পুলিশ। তৃতীয়তঃ রথের রশিতে টান দিতে আগ্রহীদের উৎসাহ ও ভিড় জমলেও সাধারণদের ওই সন্ধিক্ষণে জমায়েতে যদিও তাদের হাজিরায় আপত্তি ছিল পুলিশ ও প্রশাসনের। তবুও ভিড় নিয়ে চাপানউতোর অব্যাহত। জেলা পুলিশের খাতায় কলমের হিসেব অনুযায়ী, দুই লাখের মতো ভিড় ছিল। হোটেলিয়ার্স আ্যসোসিয়েশন অর্থাৎ হোটেল মালিক ও পরিবহনের সঙ্গে যুক্তদের বক্তব্য - মোটেই জমে নি তাদের ব্যবসা। শঙ্করপুর দীঘা উন্নয়ন পর্ষদের তরফেও এ নিয়ে বলা হয়েছে, প্রথমবার সবকিছু জমজমাট হল না। এ নিয়ে খামতি রয়েছে। বাস্তবিকই কয়েক হাজার মানুষের জমায়েত হয়েছে। রথযাত্রাকে সামনে রেখে আশার আলো দেখতে শুরু করলে ও তা পূরণ হয় নি। তবে, এটা ঠিক স্থানীয় নাগরিক থেকে শুরু করে পার্শ্ববর্তী এলাকার তথা গ্রামের মানুষদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল না। উল্লেখ্য, অক্ষয় তৃতীয়ার পূণ্যলগ্নেই জগন্নাথধাম খুলে দেওয়া হয়েছে। এরপর থেকেই রথযাত্রার জন্য জোরদার প্রচার কর্মসূচিতে প্রথম দিঘা'তে রথযাত্রাকে ঘিরে প্রচারের ঢাক যেভাবে পেটানো হয়েছিল তাতে হতাশ। উপচে পড়া ভিড় হবে আগাম ধরে নিয়েছিল রাজ্য সরকার। এবং জেলা প্রশাসনের তরফেও তা নিয়ে প্রাথমিক রিপোর্ট ছিল। যদিও তা মিলল না। তুলনায় ভিড় বেশ কম। ব্যবসায়ী সংগঠন থেকে শুরু করে পরিবহনের তরফেও এই নিয়ে আশাপ্রকাশ সত্ত্বেও বেশ গরমিল।

হিন্দুস্থান সমাচার / শুভদ্যুতি দত্ত




 

 rajesh pande