মাদকদ্রব্যের ব্যবহার রোধ এবং অবৈধ পাচারবিরোধী দিবস পালন আরপিএফ-এর
গুয়াহাটি, ২৭ জুন (হি.স.) : মাদকদ্রব্যের ব্যবহার রোধ এবং অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে ২৬ জুন ভারতীয় রেলওয়ের রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনী (আরপিএফ) রেল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মাদকের অপব্যবহার এবং অবৈধ পাচারের ক্রমবর্ধমান হুমকির বিরুদ্ধে লড়াই করা
আরপিএফ-এর অভিযানে মাদকদ্রব্য সহ গ্রেফতার পাচারকারী


গুয়াহাটি, ২৭ জুন (হি.স.) : মাদকদ্রব্যের ব্যবহার রোধ এবং অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে ২৬ জুন ভারতীয় রেলওয়ের রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনী (আরপিএফ) রেল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মাদকের অপব্যবহার এবং অবৈধ পাচারের ক্রমবর্ধমান হুমকির বিরুদ্ধে লড়াই করার দৃঢ় সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করে। রাষ্ট্র এবং তার যুবসমাজকে মাদকের ভয়াবহ কবল থেকে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে আরপিএফ মাদক চোরাচালানের জন্য দেশের রেলওয়ে ব্যবস্থার অপব্যবহার রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে।

আজ শুক্রবার উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা এক প্রেস বিবৃতিতে এ খবর জানিয়েছেন। প্রেস বিবৃতিতে শর্মা জানান, মাদকের অপব্যবহার একটি বিশ্বব্যাপী সংকটে পরিণত হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম (ইউএনওডিসি) অনুসারে ২০২১-এ প্রায় ২৯৬ মিলিয়ন মানুষ মাদক ব্যবহার করেছে, যা গত এক দশকের তুলনায় ২৩ শতাংশ বৃদ্ধির প্রতিফলন। ভারতীয় রেলওয়ের বিশালতা, সাশ্রয়ী মূল্য এবং সহজলভ্যতার জন্য পাচারকারীরা প্রায়ই রাজ্য দিয়ে মাদকদ্রব্য পরিবহণের জন্য রেলওয়েকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে। পাচারকারীরা প্রায়ই অসংরক্ষিত কামরা, স্লিপার কোচ, পার্সেল ভ্যান, এমন-কি যাত্রীদেরও ব্যবহার করে। এটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির জন্য এক অনন্য প্রত্যাহ্বান সৃষ্টি হয়েছে। তবে ভারতীয় রেলওয়ের আরপিএফ সতর্ক এবং সক্রিয় হয়ে এই ক্রমবর্ধমান হুমকির মোকাবিলা করতে নিরবিচ্ছিন্নভাবে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

দেশব্যাপী পদক্ষেপ অপারেশন নারকোস-এর অধীনে আরপিএফ মাদক পাচারের বিরুদ্ধে প্রচেষ্টা উল্লেখযোগ্যভাবে তীব্র করেছে। ২০২৪-এ, আরপিএফ ২২০ কোটি টাকার অধিক মূল্যের মাদকদ্রব্যের রেকর্ড-ব্রেকিং জব্দ এবং ১,৩৮৮ জন পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করে বৃহৎ সাফল্য অর্জন করেছে। ২০২৫-এর মাত্র প্রথম চার মাসে ৬৮ কোটি টাকার অধিক মূল্যের মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে।

ভারতীয় রেলওয়ের আরপিএফ এই প্রত্যাহ্বান মোকাবিলার জন্য একটি বহুমুখী কৌশল গ্রহণ করেছে। ট্রেন, প্ল্যাটফর্ম এবং পার্সেল অফিসগুলিতে নিয়মিত এবং আকস্মিক তল্লাশি চালানো হয়। অধিক ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বিশেষ নজরদারি দল, স্নিফার ডগ স্কোয়াড এবং গোয়েন্দা আধিকারিক মোতায়েন করা হয়। আরপিএফ নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি), গভর্নমেন্ট রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি), স্টেট পুলিশ এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে যৌথ অভিযান এবং গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানের জন্য ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করে। কার্যকর পর্যবেক্ষণের জন্য সিসিটিভি নজরদারি, হ্যান্ডহেল্ড স্ক্যানার এবং বডি ওয়ার্ন ক্যামেরার মতো আধুনিক সরঞ্জামগুলি ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। অতিরিক্তভাবে, আরপিএফ যাত্রী এবং রেলকর্মচারীদের জন্য সচেতনতামূলক অভিযান চালায়, তাদের মাদকের অপব্যবহারের বিপদ সম্পর্কে শিক্ষিত করে এবং সন্দেহজনক কার্যকলাপের তথ্য প্রদান করার ক্ষেত্রে জনসাধারণের সহযোগিতাকে উৎসাহিত করে।

ভারতীয় রেলওয়ের আরপিএফ-এর নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলে রেলওয়ে নেটওয়ার্কে মাদকদ্রব্যের পাচার উল্লেখযোগ্যভাবে রোধ করা সম্ভব হয়েছে। ফলে লক্ষ লক্ষ যাত্রীর সুরক্ষিত ভ্রমণ পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। তবে, কেবল প্রবর্তনই যথেষ্ট নয়, জনসচেতনতা, সতর্কতা এবং সক্রিয় অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আরপিএফ নাগরিকদের যে কোনও সন্দেহজনক কার্যকলাপের খবর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এক প্রেস বিবৃতিতে বলেছেন উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা

হিন্দুস্থান সমাচার / বিশাখা দেব




 

 rajesh pande