সবুজ ও সজীব ঊনকোটি গড়তে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি
কৈলাসহর (ত্রিপুরা), ২৫ জুলাই (হি.স.) : ঊনকোটি পাহাড়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে শুক্রবার অনুষ্ঠিত হল এক ব্যতিক্রমী ও তাৎপর্যপূর্ণ পরিবেশ সচেতনতা মূলক কর্মসূচি—বৃক্ষরোপণ অভিযান। বন দফতর, ''গো গ্রিন'' সামাজিক সংস্থা, জয়েন্ট ফরেস্ট ম্যানেজমেন্ট কমিটি (জেএফএ
বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি


কৈলাসহর (ত্রিপুরা), ২৫ জুলাই (হি.স.) : ঊনকোটি পাহাড়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে শুক্রবার অনুষ্ঠিত হল এক ব্যতিক্রমী ও তাৎপর্যপূর্ণ পরিবেশ সচেতনতা মূলক কর্মসূচি—বৃক্ষরোপণ অভিযান। বন দফতর, 'গো গ্রিন' সামাজিক সংস্থা, জয়েন্ট ফরেস্ট ম্যানেজমেন্ট কমিটি (জেএফএমসি) এবং ঊনকোটি জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মসূচি পরিবেশ রক্ষা ও ঐতিহ্য পুনর্জাগরণের লক্ষ্যে গৃহীত এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

প্রতিবছর অশোকাষ্টমী উপলক্ষে হাজার হাজার পুণ্যার্থী ঊনকোটি মেলায় উপস্থিত হয়ে ঐতিহ্যবাহী কুণ্ডে স্নান ও পূজা করেন। কিন্তু এ বছর কুণ্ডে জল না থাকায় বহু পুণ্যার্থীকে হতাশ হয়ে ফিরে যেতে হয়। ঊনকোটি পাহাড়ে লাগাতার বৃক্ষ নিধনের ফলেই ভূ-জলস্তর নেমে গিয়ে ঐতিহ্যবাহী জলাধার শুকিয়ে গেছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৈলাসহর মহকুমা শাসক বিপুল দাস, অতিরিক্ত জেলা শাসক অর্ঘ্য সাহা, জেলা বন আধিকারিক, মহকুমা বন আধিকারিক, জেএফএমসি সদস্যসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

‘গো গ্রিন’ সংস্থার সভাপতি মৃণাল কান্তি সিনহা বলেন, “ঊনকোটির প্রাকৃতিক ও ধর্মীয় ঐতিহ্যকে রক্ষা করতে হলে পরিবেশ সংরক্ষণ অত্যন্ত জরুরি। বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে আমরা যদি এই পাহাড়ের হারানো জীবনীশক্তি ফিরিয়ে আনতে পারি, তবেই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কিছু রেখে যাওয়া সম্ভব হবে।”

বন দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এদিন প্রায় শতাধিক দেশীয় প্রজাতির বৃক্ষের চারা রোপণ করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে আম, অশ্বত্থ, বকুল, কদম এবং অন্যান্য জলধারাকে সহায়তা করতে সক্ষম ফল ও ছায়াদানকারী বৃক্ষ।

জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই উদ্যোগ এককালীন নয়—পরবর্তী পর্যায়ে আরও বৃহত্তর আকারে এই ধরনের কর্মসূচি গ্রহণের পরিকল্পনা রয়েছে। পরিবেশ সংরক্ষণ, ঐতিহ্য রক্ষা ও পর্যটন উন্নয়নের স্বার্থে আগামীদিনে প্রশাসন ও সাধারণ মানুষ মিলেই গড়ে তুলবে এক সবুজ ও সজীব ঊনকোটি।

হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ




 

 rajesh pande