নয়াদিল্লি, ২৭ জুলাই (হি.স.): একবিংশ শতাব্দীর ভারতে বিজ্ঞান নতুন শক্তি নিয়ে এগিয়ে চলেছে, রবিবার মন-কি-বাত অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেছেন, কিছুদিন আগে, আমাদের শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক রসায়ন অলিম্পিয়াডে পদক জিতেছে। দেবেশ পঙ্কজ, সন্দীপ কুচি, দেবদত্ত প্রিয়দর্শী এবং উজ্জ্বল কেশরী, এই চারজনই ভারতের জন্য গৌরব বয়ে এনেছেন। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, গণিতের জগতেও ভারত নিজস্ব পরিচয় আরও শক্তিশালী করেছে। অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে আমাদের শিক্ষার্থীরা ৩টি স্বর্ণ, ২টি রৌপ্য এবং ১টি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছে।
মন-কি-বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, দেশের অন্যান্য স্থানে এমন আশ্চর্যজনক দুর্গ রয়েছে, যা আক্রমণের মুখোমুখি হয়েছে, খারাপ আবহাওয়ার মুখোমুখি হয়েছে, কিন্তু কখনও নিজের আত্মসম্মানকে নত হতে দেয়নি। চিত্তোরগড় দুর্গ, কুম্ভলগড় দুর্গ, রণথম্ভোর দুর্গ, আমের দুর্গ, রাজস্থানের জয়সলমীর দুর্গ বিশ্বখ্যাত। কর্ণাটকের গুলবার্গ দুর্গও অনেক বড়। চিত্রদুর্গ দুর্গের বিশালতা আপনাকে কৌতূহলে ভরিয়ে দেবে যে সেই সময়ে এই দুর্গটি কীভাবে নির্মিত হয়েছে!
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কালিঞ্জর দুর্গটি উত্তর প্রদেশের বান্দায় অবস্থিত। গজনবী এই দুর্গটি বহুবার আক্রমণ করেছিলেন এবং প্রতিবারই ব্যর্থ হন। বুন্দেলখণ্ড, গোয়ালিয়র, ঝাঁসি, দাতিয়া, অজয়গড়, গড়কুণ্ডার, চান্দেরিতে এমন অনেক দুর্গ রয়েছে। এই দুর্গগুলি কেবল ইট-পাথর নয়, এগুলি আমাদের সংস্কৃতির প্রতীক। এই দুর্গগুলির উঁচু দেওয়ালের মধ্য দিয়ে এখনও সংস্কৃতি এবং আত্মসম্মান উঁকি দেয়। ইউনেস্কো ১২টি মারাঠা দুর্গকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। মহারাষ্ট্রে ১১টি দুর্গ, তামিলনাড়ুতে একটি দুর্গ। ইতিহাসের প্রতিটি পাতা প্রতিটি দুর্গের সঙ্গে জড়িত। প্রতিটি পাথর একটি ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / রাকেশ