অবিরাম বৃষ্টি, বন্যা-ভূমিধসের কবলে নাগাল্যান্ড, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
কোহিমা, ৮ জুলাই (হি.স.) : গত প্রায় ছয়দিন ধরে অবিরাম বৃষ্টিপাতের দরুন নাগাল্যান্ডের কয়েকটি জেলা বন্যা ও ভূমিধসের কবলে পড়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। উপ-মুখ্যমন্ত্রী টিআর জেলিয়াং ধস-বিধ্বস্ত এবং
কিসামা হেরিটেজ ভিলেজে বড় ভূমিধস


প্লাবিত তুয়েনসাং জেলা


কোহিমা, ৮ জুলাই (হি.স.) : গত প্রায় ছয়দিন ধরে অবিরাম বৃষ্টিপাতের দরুন নাগাল্যান্ডের কয়েকটি জেলা বন্যা ও ভূমিধসের কবলে পড়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। উপ-মুখ্যমন্ত্রী টিআর জেলিয়াং ধস-বিধ্বস্ত এবং বন্যাক্রান্ত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেছেন।

নাগাল্যান্ড রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএমএ)-এর এক আধিকারিক সূত্রে জানা গেছে, বন্যার কবলে পড়ে রাজ্যের কয়েকটি জেলার ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, সেতু, প্রাচীর, ধানক্ষেত, জুম ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। বেশ কয়েকটি নদীর জলস্তর বেড়ে বিভিন্ন এলাকা বন্যার জলে ভাসছে।

এনএসডিএমএ সূত্ৰটি জানিয়েছে, কোহিমায় সিভিল সেক্রেটারিয়েটের নীচে একটি রিটেইনিং ওয়াল ধসে পড়ে যানবাহনের ক্ষতি হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ সরকারি অফিসগুলিতে যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। কোহিমা শহরের বেশ কিছু এলাকা জলবন্দি হয়ে নাগরিকদের দৈনন্দিন জীবন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। কোহিমা জেলায় কিসামা হেরিটেজ ভিলেজের কাছে এবং কিগওয়েমা-মিমা-চাখাবামা সড়কে বড় সড় ভূমিধস পড়েছে। এছাড়া ২ নম্বর জাতীয় সড়ক-এর ৫০ মিটার এলাকাজুড়ে ধস পড়ায় নাগাল্যান্ড এবং মণিপুরের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

ডিমাপুর জেলায় এসএম কলোনি, রাগাইলং, নামগালং, সুপার মার্কেট, কে সাচু, এখোয়ান ভিলেজ, ওয়ালফোর্ড এবং পুরনো বাজারের মডেল কলোনি সহ একাধিক জনবসতি এলাকায় বন্যার জল প্রবেশ করেছে। ডিমাপুর জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (ডিডিএমএ) বাস্তুচ্যুতদের জন্য ত্রাণ শিবির স্থাপন করেছে। উদ্ধার অভিযানে মোতায়েন করা হয়েছে হোমগার্ড, সিভিল ডিফেন্স এবং এসডিআরএফ-এর দল।

একই পরিস্থিতি চুমোকেদিমা জেলায়ও। চুমোকেদিমা জেলায় বন্যার জলে প্লাবিত হয়েছে তেনিফে, চেকিয়ে, ভিরাজোমা, সিংরিজান, খোপানালা, সোভিমা, সিআরপিএফ-এর ১৭৩ নম্বর ব্যাটালিয়ন ক্যাম্প এবং সংলগ্ন গ্রাম। অবিরাম বৃষ্টিপাতের ফলে জেলাজুড়ে নাগরিকদের বাড়িঘর সহ বহু পরিকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ-এর আধিকারিক সূত্র জানিয়েছে, নিউল্যান্ড জেলা কুহুবোতো, নিউ শোউবা, নিঝেভি, লোটোভি, সুহোই, নিহোখু, হোভিশে, ঘোকুতো, তোশিহো, খেহোয়ি এবং আনাতো গ্রাম প্লাবিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের মানুষ চূড়ান্ত ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন।

এনএসডিএমএ দফতর সূত্রে আরও জানানো হয়েছে, ভূমিধসের ফলে সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত হয়েছে। মন জেলায় লংলেং-এর সাথে সংযোগকারী রাস্তাটি গত ৪ জুলাই থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

আকস্মিক বন্যায় ওখার চাংকা গ্রামের বিস্তীর্ণ ধানক্ষেত ধ্বংস হয়ে গেছে। মোকোকচুং জেলার চাংকি এবং লংকং গ্রামে ভূমিধসের ফলে প্রধান রাস্তা এবং একটি জলের পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তুয়েনসাং-এ চারে টাউনে ২০২ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় আটকে পড়া নাগরিক এবং অসুস্থ মানুষজনদের নির্দিষ্ট জায়গায় নিয়ে যেতে সহায়তা করছে ডিডিএমএ টিম।

চারে থেকে মোকোকচুংগামী রাস্তার একাধিক জায়গা বন্ধ। নদীর তীব্র স্রোতের ফলে ওই রুটের একটি বেইলি ব্রিজ ভেঙে পড়েছে বলে জানা গেছে এনএসডিএমএ সূত্রে।

হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস




 

 rajesh pande