ভূগর্ভস্থ জলে সেলেনিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি
নয়াদিল্লি, ১৮ আগস্ট (হি.স.): কেন্দ্রীয় ভূগর্ভস্থ জল পর্ষদের পক্ষ থেকে ভূগর্ভস্থ জলের গুণগত মান নিয়ে আঞ্চলিক স্তরে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে পরিসংখ্যান সংগৃহীত হয়েছে। ১৭টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ভূগর্ভস্থ জলের ২০১৯ সালে ৫৯৫৬টি নমুনা সং
পার্লামেন্ট


নয়াদিল্লি, ১৮ আগস্ট (হি.স.): কেন্দ্রীয় ভূগর্ভস্থ জল পর্ষদের পক্ষ থেকে ভূগর্ভস্থ জলের গুণগত মান নিয়ে আঞ্চলিক স্তরে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে পরিসংখ্যান সংগৃহীত হয়েছে। ১৭টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ভূগর্ভস্থ জলের ২০১৯ সালে ৫৯৫৬টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অন্ধ্রপ্রদেশ, অরুণাচল প্রদেশ, অসম, চণ্ডীগড়, ছত্তিশগড়, দিল্লি, দাদরা ও নগর হাভেলী, গুজরাট, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, পাঞ্জাব, তেলেঙ্গানা ও ত্রিপুরায় এই সমীক্ষা সংগ্রহের কাজ হয়েছে। এই বিষয়ে জানিয়েছে ভারত সরকারের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (পিআইবি)।

পিআইবি-র তরফে জানানো হয়েছে, যে নমুনা সংগৃহীত হয়েছে, সেগুলির মধ্যে হরিয়ানার ঝজ্জর জেলা এবং পাঞ্জাবের রূপনগর (রোপার) জেলায় কেবল ৪টি নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গেছে সেলেনিয়ামের মাত্রা অনুমোদিত সীমা ১০ পিপিবিএ-কে ছাপিয়ে যাচ্ছে।

ভারত সরকার রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে জল জীবন মিশনের সূচনা করে। এর উদ্দেশ্য হল, দেশের গ্রামাঞ্চলে দীর্ঘস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়মিত পাইপ বাহিত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া। পানীয় জল যেহেতু রাজ্যের নিয়ন্ত্রণাধীন বিষয় তাই জেজেএম প্রকল্পের অধীন পানীয় জল সরবরাহে পরিকল্পনা, মঞ্জুর এবং রূপায়ণের দায়িত্বভার রাজ্য তথা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির। কেন্দ্রীয় সরকার এক্ষেত্রে রাজ্যগুলিকে আর্থিক এবং কারিগরি সহায়তা প্রদান করে।

জেজেএম প্রকল্পের অধীন পাইপ বাহিত পানীয় জল সরবরাহের ক্ষেত্রে ভারতীয় মানক ব্যুরোর বিআইএস : ১০৫০০ মান মেনে চলা হয়। জেজেএম প্রকল্পের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র হিসেবে রাসায়ণিক দূষণ প্রভাবিত এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে বিকল্প হিসেবে নিরাপদ জল সূত্র থেকে জল সরবরাহের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। তাদেরকে কমিউনিটি জল পরিশোধন প্লান্ট স্থাপনেরও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন প্রয়োজন ভিত্তিতে প্রত্যেক ব্যক্তি ভিত্তিক ৮-১০ লিটার জল গৃহস্থালীতে পৌঁছে দেওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যাতে তা রান্না বা খাবার জল হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।

জলের গুণগত মান নজরদারির জন্য জেজেএম-এর অধীন যে তহবিল বরাদ্দ করা হয়েছে, তার ২ শতাংশ অর্থ রাজ্য সরকারগুলির নির্দেশিকা মেনে জলের গুণগত মান নির্ধারণে পরীক্ষাগার, সহায়ক সরঞ্জাম, দক্ষ শ্রমশক্তিকে কাজে লাগানো, এলাকা ভিত্তিক জল পরীক্ষা, জনসচেতনতা গড়ে তোলা প্রভৃতি কাজে ব্যবহার করতে পারে। সিজিডব্লুবি দেশ জুড়ে ১৫৫০টি জনসম্পর্ক কর্মসূচির আয়োজন করেছে। তাতে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ ৩৬০০০। জলের দূষণ প্রতিরোধে বৃষ্টির জল ধরে রাখা, ভূগর্ভস্থ জলের গুণগত মান এবং জলের ব্যবহার সম্পর্কে তাদের নানারকম পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। গ্রামাঞ্চলে পাইপ বাহিত পানীয় জল সরবরাহের নজরদারিতে বিভিন্ন অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনাক্রমে একটি হ্যান্ডবুক রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির জন্য প্রকাশ করা হয়েছে। এতে জল সংক্রান্ত নানা তথ্য পাওয়া যায়।

এটি ছাড়াও পানীয় জল পরিশোধন প্রযুক্তি সংক্রান্ত আরও একটি হ্যান্ডবুক প্রকাশিত হয়েছে যেখানে স্থানীয় সমস্যা মেটানো এবং জলদূষণ প্রভাবিত এলাকাগুলিতে জল সমস্যা মেটাতে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে তথ্য জানানো হয়েছে। রাজ্যগুলির জল পরিশোধনের ক্ষেত্রে তাদের প্রয়োজন অনুসারে নানা প্রযুক্তিগত সহায়তা নিতে পারে।

রাজ্যসভায় সোমবার এক লিখিত জবাবে জলশক্তি প্রতিমন্ত্রী ভি সোমান্না একথা জানিয়েছেন।

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / সৌম্যজিৎ




 

 rajesh pande