বেহাত জমি, ঝাড়গ্রাম জেলা রেজিস্ট্রি অফিস ঘেরাও গ্রামবাসীদের
ঝাড়গ্রাম, ১৫ সেপ্টেম্বর ( হি. স. ) : নিজের গ্রাম, জমি, ঘরবাড়ি নিজেদের অজান্তেই সবকিছু বিক্রি হয়ে গিয়েছে। তাই নিজেদের জমি ফেরৎ পেতে একজোট গ্রামবাসী।জমি মাফিয়ারা গ্রামের প্রায় চারশো একর জমি নানা কৌশলে বিক্রি করছে এবং এমন কি জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখিয়ে
বেহাত জমি, ঝাড়গ্রাম জেলা রেজিস্ট্রি অফিস ঘেরাও গ্রামবাসীদের


ঝাড়গ্রাম, ১৫ সেপ্টেম্বর ( হি. স. ) : নিজের গ্রাম, জমি, ঘরবাড়ি নিজেদের অজান্তেই সবকিছু বিক্রি হয়ে গিয়েছে। তাই নিজেদের জমি ফেরৎ পেতে একজোট গ্রামবাসী।জমি মাফিয়ারা গ্রামের প্রায় চারশো একর জমি নানা কৌশলে বিক্রি করছে এবং এমন কি জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখিয়ে জমি হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।এদিন একজোট হয়ে গ্রামবাসীরা ঘেরাও করল জেলা রেজিস্ট্রি অফিস।গ্রামবাসীদের প্রশ্ন কিভাবে তাদের জমি বেহাত হল? । তাদের দাবি, তাদের জমি ফিরিয়ে দিতে হবে। সোমবার সাঁকরাইল ব্লকের কয়েকশো মানুষ হাজির হন ঝাড়গ্রাম জেলা রেজিস্ট্রি অফিসে।উল্লেখ্য, জামি মাফিয়াদের দাপটে জমি বেহাত হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর থেকে শুরু করে সাঁকরাইল থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন বাঁকড়া গ্রামের বাসিন্দারা।

ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের বাকড়া এলাকায় একশোটির বেশি পরিবারের প্রায় চারশো একর জমির রেজিস্ট্রি হয়ে দলিল গিয়েছে। জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সাঁকরাইল ব্লকের পাথরা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাকড়া গ্রামে প্রায় চারশো একর জমি রেজিস্ট্রি হয়ে দলিল হয়ে গিয়েছে। সেখানে বাজার এলাকাও রয়েছে। সম্প্রতি, ওই জমির সাঁকরাইল ব্লক ভূমি দফতরে রেকর্ড শুরু হতেই বিষয়টি ধরা পড়ে। তারপর বাসিন্দারা জানতে পারেন, প্রায় একশো জনের বেশি প্রায় চারশো একর জমি বেহাত হয়ে গিয়েছে। বাকড়া গ্রামের বাসিন্দা পাপু মাহাতো বলেন, ‘‘বাবা গণেশ মাহাতোর নামে থাকা পাঁচ বিঘা জমির দলিল হয়ে গিয়েছে। দলিলে বাবাকে মৃত দেখানো হয়েছে। স্থানীয় কিছু লোকজন এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে। তদন্ত হলে সব তথ্য বেরিয়ে আসবে।’’ জানা গিয়েছে, যে চারশো একর জমি রেজিস্ট্রি হয়ে দলিল হয়ে গিয়েছে তার মধ্যে রায়ত জমি, পাট্টা জমিও রয়েছে। এবিষয়ে বাঁকড়া গ্রামের রাম চন্দ্র মাহাত বলেন,আমাদের জমি কি ভাবে চলে গেল আমি নিজেই বুঝতে পারলাম না। এমনকি বাড়িঘর থেকে শুরু করে সব কিছুই বিক্রি হয়ে গিয়েছে। আমি একটা জাব্দা বের করছি সেখানে দেখছি একজন ঝাড়গ্রামের আর একজন দক্ষিণশোলে লোক আমার জায়গা বিক্রি করেছে। আমার ৩ একর ২৯ ডেসিমিল জমির সব অংশ বিক্রি হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও আমার ছেলের জমিও বিক্রি হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও মৃন্ময়ী মাহাত,সুবোধ মাহাত,সুধীর মাহাতোরা বলেন, আমাদের জমি জায়গা, ঘরবাড়ি সব কিছু আমাদের অজান্তেই বিক্রি হয়ে গিয়েছে। কিভাবে এটা হল আমরা সেটাই বুঝতে পারছি না। বেশ কিছু জীবিত মানুষকে মৃত দেখিয়ে জমি বিক্রি করে দিয়েছে। এটা জানার জন্য আমরা ডিএম অফিসে এসেছি। এবিষয়ে ঝাড়্গ্রাম জেলার ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার জয়দীপ চন্দ্র রেজিস্ট্রারের কাজ হচ্ছে যিনি এখানে আসেন আমরা তাঁর ডকুমেন্টস দেখা হয়। আর রেজিষ্ট্রেশন হয়ে যাওয়া মানে জমি তাঁর হয় না। মিউটেশনের পর জমি তাঁর হবে। সেটা বিএলআরও দেখবেন। এখানে যে ব্যক্তি মারা গিয়েছে বলেছেন তাঁর কিছু ডকুমেন্টস দেখার কথাছিল। এরপর বাকি দেখবে আদালত কার জমি কে বিক্রি করল সেটা আদালত দেখবে। যেখানে একটা গোটা গ্রাম বিক্রি হয়ে যাচ্ছে সেখানে অঞ্চলের প্রধানের একটা ভূমিকা থাকে। উনি না দেখে কি করে সার্টিফিকেট দিলেন। তবে আমাকে গ্রামবাসীরা অভিযোগ জানিয়েছেন আমি তদন্ত করে দেখবো যার যার গাফিলতি পাওয়া যাবে তাঁর বিরুদ্ধে আমি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।এবিষয়ে ঝাড়্গ্রামের জেলা শাসক সুনীল আগরওয়াল বলেন, গ্রামবাসীরা অভিযোগ জমা দিয়েছেন। আমরা তদন্ত করে দেখছি। যদি কারো গাফিলতি থাকে সেক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

হিন্দুস্থান সমাচার / গোপেশ মাহাতো




 

 rajesh pande