জয়নগর, ৯ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : গোপন সূত্রে খবর পেয়ে একটি অস্ত্র কারখানা উদ্ধার করল দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর থানার পুলিশ। সোমবার রাতে জয়নগর মজিলপুর পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাসানপুর এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে একটি নির্মীয়মান বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বন্দুক তৈরি কারখানা। ঘটনায় গ্রেফতার ভবেন পাল ও হাসান গাজী। উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম। এছাড়াও ওয়েল্ডিং মেশিন ও ড্রিল মেশিন উদ্ধার হয়েছে। মঙ্গলবার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে , এসডিপিও অভিষেক রঞ্জনের নেতৃত্বে সোমবার রাতেই প্রায় ১৫ জনের পুলিশের একটি দল ওই এলাকায় হানা দেয়। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভেতরে বসেই তৈরি করা হচ্ছে আগ্নেয়াস্ত্র। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় একটি ওয়েলডিং মেশিন, প্রায় ২ কেজি গান পাউডার সহ বন্দুক তৈরির একাধিক যন্ত্রাংশ।
এক পুলিশ আধিকারিক জানান , তিন মাস আগে ওই নির্মীয়মাণ বাড়িটি ভাড়া নেওয়া হয় বসবাসের নাম করে। কিন্তু গোপনে সেখানে চলছিল অস্ত্র কারবার। এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে দুই ব্যক্তি। ধৃতদের মধ্যে একজন ফিরোজ গাজী, যিনি পুরনো একটি খুনের মামলার আসামী বলেও জানা গেছে। অপর অভিযুক্তের নাম ভবেন পাল। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, দুষ্কৃতমূলক কাজে ব্যবহার করার জন্যই তৈরি হচ্ছিল এইসব অস্ত্র। তবে এর পিছনে আরও বড় কোনও চক্র কাজ করছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এই ঘটনায় রাজনৈতিক যোগ এখনও পাওয়া যায়নি বলেই দাবি পুলিশের। ধৃতদের মঙ্গলবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে। পুলিশ তাদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে পুরো চক্রকে উন্মোচিত করার চেষ্টা করছে পুলিশ। এসডিপিও অভিষেক রঞ্জন জানিয়েছেন, “যে সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে, তা থেকে স্পষ্ট—এখানে দীর্ঘদিন ধরেই অস্ত্র তৈরির কাজ চলছিল। কারা এর সঙ্গে জড়িত এবং কোনও উদ্দেশ্যে এই অস্ত্র তৈরি হচ্ছিল, তা বিস্তারিতভাবে তদন্ত করা হবে।” ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এই ভেবে যে বসবাসের জন্য নেওয়া একটি ভাড়া বাড়ি কীভাবে রাতারাতি অবৈধ অস্ত্র কারখানায় পরিণত হল। পুলিশের তৎপরতায় বড়সড় ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / পার্সতি সাহা