দীপাবলি আসন্ন, আগরতলায় মাটির প্রদীপের চাহিদা তুঙ্গে — ন্যায্য দামের অভাবে হতাশ মৃৎশিল্পীরা
আগরতলা, ১১ অক্টোবর (হি.স.) : দীপাবলি উৎসবের আগে আগরতলার বাজারে মাটির প্রদীপের চাহিদা এখন তুঙ্গে। তবে সেই চাহিদার সুফল পুরোপুরি পাচ্ছেন না শহরের মৃৎশিল্পীরা। বিশেষ করে নন্দননগর এলাকার কারিগরদের অভিযোগ, সারা বছর প্রতিকূলতার মধ্যে কাজ করলেও, উৎসবের মর
মাটির প্রদীপ


আগরতলা, ১১ অক্টোবর (হি.স.) : দীপাবলি উৎসবের আগে আগরতলার বাজারে মাটির প্রদীপের চাহিদা এখন তুঙ্গে। তবে সেই চাহিদার সুফল পুরোপুরি পাচ্ছেন না শহরের মৃৎশিল্পীরা। বিশেষ করে নন্দননগর এলাকার কারিগরদের অভিযোগ, সারা বছর প্রতিকূলতার মধ্যে কাজ করলেও, উৎসবের মরশুমে তাঁদের তৈরি প্রদীপের ন্যায্য দাম মিলছে না।

নন্দননগর দীর্ঘদিন ধরেই মৃৎশিল্পের জন্য পরিচিত। এখানকার শতাধিক পরিবার প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মাটির বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। দীপাবলির আগমনে তাঁরা ঝাঁপিয়ে পড়েন প্রদীপ তৈরির কাজে। হালকা থেকে শুরু করে নকশাযুক্ত জটিল কারুকার্যের প্রদীপ—সবই তৈরি করেন তাঁরা, যেগুলির চাহিদা শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন বাজারে প্রচুর।

এক স্থানীয় মৃৎশিল্পী জানান, “গত এক মাস ধরে দিন-রাত খেটে প্রায় ৫,০০০ প্রদীপ বানিয়েছি। বাজারে ভালো চাহিদা থাকলেও পাইকাররা অল্প দামেই কিনে নিচ্ছেন। আগে কিছুটা ভালো দাম পাওয়া যেত, কিন্তু এখন সস্তা। বিদেশি টুনি বাল্ব ও এলইডি লাইটের কারণে মাটির প্রদীপের মূল্য অনেক কমে গেছে।”

আধুনিকতা ও বিশ্বায়নের প্রভাবে ঐতিহ্যবাহী এই কুটির শিল্প এখন চরম সঙ্কটে। পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি ও কাঁচা মালের দাম বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন খরচ অনেক গুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবুও ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন এই শিল্পীরা।

তাঁদের আশা, সরকার ও প্রশাসন যদি ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেয়, তাহলে আগরতলার এই প্রাচীন মৃৎশিল্প আবারও আগের জৌলুস ফিরে পেতে পারে।

হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ




 

 rajesh pande