ঝাড়গ্রাম, ১৩ অক্টোবর ( হি. স. ) : ঝাড়গ্রামের বিনপুর দুই ব্লকের যুব তৃণমূলের সভাপতি রাজীব মাহাতোকে দলীয় পদ থেকে সরানোর পর বুথ, অঞ্চল, ব্লক কমিটি ও অঞ্চল তৃণমূলের একাধিক যুব তৃণমূলের সভাপতিরা স্বেচ্ছায় দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করলেন। এক সাথে ৯১৬ জন যুব তৃণমূলের সভাপতিরা পদ ছাড়াই চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে দলের অন্দরে। সোমবার বিনপুর দুই ব্লকের বাঁশপাহাড়ী, বেলপাহাড়ী, শিলদা, ভেলাইডিহা ও হাড়দা অঞ্চলের যুব তৃণমূলের সভাপতিরা তাদের দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করেন। পরে তাদের পদত্যাগ পত্রটি রাজ্য যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নি ঘোষকে ই মেল করে পাঠিয়েছে। তাদের অভিযোগ যুব তৃণমূলের সভাপতিকে চক্রান্ত করে দলের পদ থেকে সরানো হয়েছে। এবিষয়ে জেলা যুব সভাপতিকে বিষয়টি নিয়ে বারে বারে জানানো হলেও তিনি এবিষয়ে কোনো কর্ণপাত করেনি বলেও অভিযোগ। তৃণমূল সুত্রে জানা গিয়েছে ২৫ সেপ্টেম্বর বিনপুর দুই ব্লকের যুব তৃণমূলের সভাপতি রাজীব মাহাতকে তার দলীয় পদ থেকে সরানোর হয়েছে। জানা গিয়েছে রাজীব মাহাত ২০১০ সালে আরএমএস কলেজে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন। পরে ওই বছরেই ভেলাইডিহা অঞ্চলের জব্বলপুর বুথের বুথ সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ভেলাইডিহা অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন। এরপর ২০১৭ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বিনপুর ব্লকের সাধারণ সম্পাদকের পদে ছিলেন। তারপর ২০২১ সাল থেকে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্লকের যুব তৃণমূলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। রাজীব বাবু ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দল ক্ষমতায় আসার আগে হার্মাদ ও মাওবাদীদের হাতে বিভিন্ন সময় নানা অত্যাচার করেছিল। আমার বাড়িতে একাধিক বার চড়াও হয়েছিল। আমি কিন্তু তখন তৃণমূল ছাড়িনি। বিষয়ে বাঁশপাহাড়ি অঞ্চল যুব সভাপতি দিলীপ মাহাতো বলেন রাজীব মাহাতো যে ভাবে নিজের সিভিকের চাকরি ছেড়ে দলকে ভালোবেসে সংগঠন মজবুত করেছেন তা,অতুলনীয়। হার্মাদ, মাওবাদীদের অত্যাচার সহ্য করে শুধু দলকে ভালোবেসে মাটি কামড়ে পড়ে থেকে সংগঠন মজবুত করেছেন। তাঁকে অন্যায় ভাবে সরানো হয়েছে। যেটা আমরা মেনে নিচ্ছি না,। তাই অঞ্চল,বুথ সহ ৯১৬ জন আমরা,দল ছাড়লাম। তাকে পূর্নবহাল না করা হলে আমরা দল করব না এবিষয়ে প্রাক্তন যুব সভাপতি রাজীব মাহাতো বলেন আমাকে সরানোর পর থেকে অঞ্চল,বুথ কমিটির সভাপতি সহ সদস্যদের মন খারাপ হয়ে যায়।ওরা দুঃখ পেয়ে দল ছেড়েছেন। এই নিয়ে আমি আর কি বলব। ওরা আমায় ভালোবাসে।শুনেছি ওরা দল ছাড়ার বিষয়টি রাজ্য যুব সভানেত্রীকে জানিয়েছেন। অন্যদিকে জেলা বিজেপির সহ সভাপতি দেবাশিষ কুন্ডু বলেন তৃণমূল কোন দল নয়। এটা একটা কোম্পানি।কোন আলোচনা ছড়াই এখনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নির্বাচনের আগে এদের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব সামনে এসে গিয়েছে। বেলপাহাড়ির ঘটনা তাই প্রমাণ করছে। এবার নির্বাচনে তৃণমূলের শাসন কাল শেষ হবে বলেই মনে করছি। এবিষয়ে ঝাড়গ্রাম জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি আর্য ঘোষের ফোন বন্ধ থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।
হিন্দুস্থান সমাচার / গোপেশ মাহাতো