দুর্গাপুর কান্ডে, রাজ্যে ভুয়ো পুলিশের তদন্তের দাবী বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময়ের
দুর্গাপুর, ১৩ অক্টোবর (হি. স.) : দুর্গাপুরে বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারি পড়ুয়ার গনধর্ষনের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য। একের পর এক ধর্ষণকাণ্ডে পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন উঠেছে। এবার দুর্গাপুরকান্ডেও পুলিশের উদাসীনতার প্রশ্ন তুলে সরব হল বিজেপি সাংসদ জ্যোতির
দুর্গাপুর কান্ডে, রাজ্যে ভুয়ো পুলিশের তদন্তের দাবী বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময়ের


দুর্গাপুর, ১৩ অক্টোবর (হি. স.) : দুর্গাপুরে বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারি পড়ুয়ার গনধর্ষনের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য। একের পর এক ধর্ষণকাণ্ডে পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন উঠেছে। এবার দুর্গাপুরকান্ডেও পুলিশের উদাসীনতার প্রশ্ন তুলে সরব হল বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। সোমবার দুর্গাপুরে বিজেপির ধর্নামঞ্চ থেকে ভুয়ো শিক্ষকের পর ভুয়ো পুলিশের তদন্তের দাবী তুললেন তিনি। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার রাতে দুর্গাপুর নিউটাউনসিপ থানার পরানগঞ্জ এলাকায় ওড়িশার এক ডাক্তারি পড়ুয়া গনধর্ষিতা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পরদিন ছুটে আসে জাতীয় মহিলা কমিশন। ওইদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন তোলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যা ডাঃ অর্চনা মজুমদার। তিনি বলেন, ঘটনার পর ঘটনাস্থল কর্ডন করা উচিত ছিল পুলিশের। সেটা করেনি। ফরেন্সিক নমুনা সংগ্রহ করা উচিত ছিল। যদিও জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রশ্নের পরদিন অর্থাৎ দুদিন পর ঘটনাস্থল কর্ডন করে পুলিশ। যদিও তার আগে বহু মানুষ সেখানে যাতায়াত করায় নমুনা লোপাট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়াও প্রায় ৪৪ ঘন্টা পর সেখানে নমুনা সংগ্রহ করে ফরেন্সিক দল। স্বাভাবিকভাবেই পুলিশের ভুমিকায় প্রশ্ন ওঠে। রবিবার বিকাল বিজেপির জাতীয় সড়ক অবরোধ ছিল বিজেপির। তাতে সামিল ছিলেন বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্নয় সিং মাহাতো। সেখানে অবরোধ তুলতে তাদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। সোমবার দুর্গাপুরে ধর্নামঞ্চ শুরু করে বিজেপি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। এদিন তিনি পুলিশের ভুমিকা নিয়ে বলেন, ২০১৬ সালে ভুয়ো মাস্টার ধরা পড়েছে। ২০১১ সালের পর রাজ্যে অনেক পুলিশ নিয়োগ হয়েছে। পুলিশের আচরন দেখে মনে হচ্ছে নিজের যোগ্যতায় পুলিশে নিয়োগ হয়নি। টাকা দিয়ে ও মমতার আশীর্বাদে ঢুকেছে। এইসমস্ত ভুয়ো পুলিশ তৃণমূলের চামচাবাজি করেছে। তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে। তাই এসমস্ত ভুয়ো পুলিশ নিয়োগের তদন্ত হোক। এদিন তিনি দুর্গাপুরে নির্যাতিতার পাঠ্যরত বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজের অনুমতি নিয়েও জোরালো প্রশ্ন তুলেন। তিনি বলেন, এতবড় মেডিক্যাল কলেজে হাজার পড়ুয়া। সেখানে পর্যাপ্ত খাবারের ক্যান্টিন নেই। নিরাপত্তা নেই। গেটের বাইরে আলো নেই। আমাদের ধারনা তৃণমূলের কোন বড় নেতার শেয়ার আছে মেডিক্যাল কলেজে। টাকা দিয়ে অনুমতি নিয়েছে মেডিক্যাল কলেজের। এটার তদন্ত হওয়া দরকার।

হিন্দুস্থান সমাচার / জয়দেব লাহা




 

 rajesh pande