সরকার কর্মচারীদের সামাজিক সুরক্ষা কভারেজ-এর আওতায় নিয়ে আসা বাড়াতে কর্মচারী নথিভুক্তিকরণ অভিযান ২০২৫ শুরু করল
নয়াদিল্লি, ১৩ অক্টোবর ( হি. স.): কেন্দ্রীয় শ্রম এবং কর্মসংস্থান মন্ত্রক ‘কর্মচারী নথিভুক্তিকরণ অভিযান ২০২৫’ (ইইসি ২০২৫)-এর ঘোষণা করেছে, যা ইপিএফও-র মাধ্যমে অধিক সংখ্যায় শ্রমিকদের সংগঠিত সামাজিক সুরক্ষার আওতায় আনার জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই
সরকার কর্মচারীদের সামাজিক সুরক্ষা কভারেজ-এর আওতায় নিয়ে আসা বাড়াতে কর্মচারী নথিভুক্তিকরণ অভিযান ২০২৫ শুরু করল


নয়াদিল্লি, ১৩ অক্টোবর ( হি. স.): কেন্দ্রীয় শ্রম এবং কর্মসংস্থান মন্ত্রক ‘কর্মচারী নথিভুক্তিকরণ অভিযান ২০২৫’ (ইইসি ২০২৫)-এর ঘোষণা করেছে, যা ইপিএফও-র মাধ্যমে অধিক সংখ্যায় শ্রমিকদের সংগঠিত সামাজিক সুরক্ষার আওতায় আনার জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই বিষয়ে জানিয়েছে ভারত সরকারের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (পিআইবি) ।

পিআইবি-র তরফে জানানো হয়েছে, এই যোজনা ১ নভেম্বর ২০২৫ থেকে ৩০ এপ্রিল ২০২৬ পর্যন্ত চালু চলবে। এই যোজনা ২০০৯ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত বাদ পড়া যোগ্য কর্মচারীদের নথিভুক্তিকরণের জন্য ২০১৭-য় হওয়া এই ধরনের সফল নথিভুক্তিকরণ অভিযানের পর, মন্ত্রকের আরও এক প্রয়াস।

এই অভিযানের উদ্দেশ্য কর্মচারী ভবিষ্য নিধি এবং বিবিধ সংশোধনী অধিনিয়ম ১৯৫২-এর অন্তর্গত আগে থেকেই নথিভুক্ত এবং নতুন নিয়োগকারী, দুই পক্ষকেই স্বেচ্ছায় যোগ্য কর্মচারীর ঘোষণা এবং নথিভুক্তিকরণের জন্য উৎসাহিত করা।

নিয়োগকারী সকল কর্মরত কর্মচারীদের নথিভুক্তিকরণ করতে পারে, যারা পয়লা জুলাই ২০১৭, ৩১ অক্টোবর ২০২৫-এর মধ্যে প্রতিষ্ঠানে যোগ দিয়েছে এবং যাঁরা ঘোষণার এই তারিখ পর্যন্ত জীবিত এবং কর্মরত, কিন্তু যে কোনও কারণেই হোক প্রথম ইপিএফ যোজনায় নথিভুক্ত হননি।

এক বড় সুবিধা হিসেবে আগেকার সময়ে (পয়লা জুলাই ২০১৭ থেকে ৩১ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত) – এর জন্য ভবিষ্য নিধি অংশগ্রহণে কর্মচারীর অংশ মকুব করে দেওয়া হবে যদি তা না কর্মচারীর বেতন থেকে কাটা না হয়ে থাকে। নিয়োগকারীকে শুধুমাত্র ওই সময়ের জন্য নিজের অংশটুকু দিতে হবে।

এই যোজনার সুবিধাপ্রাপক নিয়োগকারীদের এককালীন ১০০ টাকার নামমাত্র জরিমানা দিতে হবে যা আইন লঙ্ঘনের জন্য দেয় জরিমানার থেকে অনেক কম।

সকল প্রতিষ্ঠান প্রস্তাবিত যোজনায় অংশ নেওয়ার যোগ্য, এমনকি সেই সব প্রতিষ্ঠানও যারা অধিনিয়মের ৭এ ধারা মোতাবেক বা যোজনার ২৬ বি অনুযায়ী অথবা কর্মচারী পেনশন যোজনা ১৯৯৫-এর প্যারাগ্রাফ ৮ অনুযায়ী তদন্তের মুখোমুখি।

ইইসি-র সুবিধাপ্রাপক নিয়োগকর্তাদের বিরুদ্ধ ইপিএফও দ্বারা কোনও স্বতঃপ্রণোদিত মামলা শুরু করা হবে না, যারা ঘোষণার তারিখের মধ্যে প্রতিষ্ঠান ছেড়ে চলে যাওয়া এমন কর্মচারীদের দৌলতে ইইসির সুযোগ নিয়েছেন।

সকল নিয়োগকারী যারা ইইসি ২০২৫ অনুযায়ী নথিভুক্ত অথবা ইইসি ২০২৫ অনুযায়ী অতিরিক্ত কর্মচারীর ঘোষণা করেছেন তারা প্রধানমন্ত্রী বিকশিত ভারত রোজগার যোজনার সুবিধা লাভ করার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন, তবে, যোজনা অনুযায়ী কিছু নিয়ম এবং কিছু শর্ত মেনে চলা সাপেক্ষে।

নিয়োগকারীদের ইপিএফও দ্বারা উপলব্ধ অনলাইন সুবিধার মাধ্যমে ঘোষণা করতে হবে, যেখানে নিয়োগকারী নথিভুক্ত কর্মচারীদের বিবরণ দেবেন এবং এটিকে ইলেকট্রনিক চালান-সহ রিটার্ন-এর সঙ্গে জুড়ে দেবেন, যার মাধ্যমে নিজস্ব ভাগ এবং ১০০ টাকার এককালীন জরিমানা দেওয়া হয়েছে।

সরকার মনে করে, এই অভিযান কর্মচারীদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা কভারেজ-এর লক্ষ্যে নথিভুক্তিকরণ বৃদ্ধি পাবে এবং এটি নিয়োগকারীদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে, যারা তাদের পূর্ব রেকর্ডের ন্যূনতম/আইনি বোঝা নিয়ে নিয়মিত করতে পারবেন এবং ব্যবসা করার পক্ষেও সুবিধা হবে।

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / সৃজিতা বসাক




 

 rajesh pande