দুর্গাপুর, ১৪ অক্টোবর (হি.স.): ওড়িশার ডাক্তারি পড়ুয়ার গণধর্ষণ কান্ডে প্রতিবাদের দেখা নেই শহরে। এমনকি ঘটনার কোন বিবৃতিও প্রকাশ্যে আসেনি বলে অভিযোগ। আর তার জেরেই শহরের তৃণমূল সাংসদ ও রাজ্যের মন্ত্রী নিখোঁজ পোস্টার পড়ল দুর্গাপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র সিটিসেন্টারে। তাই নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাতে কলেজ থেকে খাবার খেতে বেরিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয় ওড়িশার এল ডাক্তারি পড়ুয়া। আর জি কর থেকে কসবা ল কলেজ, মুর্শিদাবাদ থেকে পাশুকুড়া হাসপাতাল। একের পর এক ধর্ষণকান্ডে তোলপাড় গোটা রাজ্য তথা গোটা দেশ। ঘটনার খবর চাউর হতেই, ছুটে এসেছে জাতীয় মহিলা কমিশন থেকে ওড়িশার মহিলা কমিশন। এমনকি সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও সরাসরি নির্যাতিতার সঙ্গে ফোন খোঁজ খবর নিয়েছেন। অভিযোগ, অথচ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এখনও ফোন করেননি নির্যাতিতাকে। এমনকি দুর্গাপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ কীর্তি আজাদ ও রাজ্যের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের দেখা নেই শহরে। এমনকি ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় কোন বিবৃতিও প্রকাশ্যে আসেনি বলে অভিযোগ। আর তাতেই শোরগোল শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। সোমবার রাতে তৃণমূল সাংসদ কীর্তি আজাদ ও মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের নামে নিখোঁজ পোস্টার পড়ে শহরের প্রাণকেন্দ্র সিটি সেন্টারে। পোস্টারে কীর্তি আজাদ ও প্রদীপ মজুমদারের ছবি দেওয়া রয়েছে। তাতে লেখা, সন্ধান চাই। দুর্গাপুরে এত বড় কান্ড ঘটে গেল এনাদের কোথাও খুঁজে পাওয়া গেল না। কেউ খুঁজে পেলে জানান। ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুই জানান, শহরে কিছু পোস্টার পড়েছে শুনেছি। সেটাই স্বাভাবিক। শহরের বুকে এত বড় পৈশ্চিক ঘটনা ঘটে গেল। অথচ তিনদিন ধরে তাদের সামনে দেখা গেল না। কেন সামনে এলেন না? কেন ধর্ষণকান্ড নিয়ে মুখ খুললেন না? সেটা শহরের সাধারন মানুষ জানতে চায়। কংগ্রেস নেতা দেবেশ চক্রবর্তী বলেন,তৃণমূল সংসদ রেলে পদপিষ্ট ঘটনায় মুখ খুলতে পারলেন। এত বড় ধর্ষণ কান্ডে মুখ খুলতে পারলেন না। আসলে, দলীয় কর্মী যদি ধর্ষণে যুক্ত থাকে কিভাবে লজ্জায় মুখ খুলবেন তৃণমূল সাংসদ মন্ত্রীরা। তাই আত্মগোপন করে আছেন। আর এই আত্মগোপনের জন্যই সাধারন মানুষ নিখোঁজ পোস্টার দিয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা মুখপাত্র উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় বলেন, ঘটনার সঠিক যাতে তদন্ত হয়, এবং দোষীরা কঠোরোতম শাস্তি পায়, মন্ত্রী প্রদীপবাবু পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছেন। সেই বিবৃতিও দিয়েছেন। বিজেপি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পোস্টার দিয়েছে। ধরনা মঞ্চ করে নাটক করছে। দুর্গাপুরের মানুষ বিজেপির নাটক দেখতে প্রস্তুত নয়। তাই তাদের ধরনা মঞ্চ ফাঁকা।
হিন্দুস্থান সমাচার / জয়দেব লাহা