অবৈধ কার্যকলাপ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় জেলাশাসকের নির্দেশ, রাতে চলাচল ও পণ্য পরিবহণে কঠোর নিষেধাজ্ঞা
শিলচর (অসম), ১৪ অক্টোবর (হি.স.) : ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় জঙ্গি উপদ্রব, অবৈধ পণ্য ও গবাদিপশুর চলাচলের আশঙ্কার পরিপ্রেক্ষিতে কাছাড়ের জেলাশাসক মৃদুল যাদব ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা (বিএনএসএস)-এর ধারা ১৬৩ অনুযায়ী এক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ জারি করেছেন। জারিকৃত নির্দেশের উদ্দেশ্য, সীমান্ত অঞ্চলে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার পাশাপাশি অবৈধ কার্যকলাপ প্রতিরোধ করা।
জেলাসাসকের জারিকৃত আদেশে বলা হয়েছে, সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত কাছাড় জেলার অন্তর্গত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এক কিলোমিটার এলাকার মধ্যে কোনও ব্যক্তি চলাচল করতে পারবেন না। একই সঙ্গে সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত সুরমা নদী ও তার উঁচু তীরবর্তী এলাকায়ও চলাচল সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
মাছ ধরার উদ্দেশ্যে সুরমা নদীতে নৌকা চালানোও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে স্থানীয় জনগণ ব্যক্তিগত প্রয়োজনে মাছ ধরতে চাইলে কাটিগড়া রাজস্ব বৃত্তের চক্র আধিকারিকের অনুমতি সাপেক্ষে এবং লিজগ্রহীতার সম্মতিতে তা করতে পারবেন। এমন অনুমতির একটি অনুলিপি জেলাশাসক, কাছাড় এবং ১৭০ নম্বর বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট, ধলছড়াকে পাঠাতে হবে।
এছাড়া, সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত সীমান্তবর্তী পাঁচ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে চিনি, চাল, গম, ভোজ্য তেল, কেরোসিন ও লবণ সহ কোনওধরনের খাদ্য বা জ্বালানি সামগ্রী গাড়ি, ঠেলা বা রিকশা দ্বারা পরিবহণ করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিশেষ প্রয়োজনে শুধুমাত্র কাটিগড়া চক্র আধিকারিক স্থানীয় গণবণ্টন বিভাগের আধিকারিকদের যাচাইয়ের ভিত্তিতে সীমিত অনুমতি দিতে পারবেন, যার কপি জেলাশাসক ও বিএসএফ কমান্ড্যান্টকে পাঠাতে হবে।
এই আদেশ জনস্বার্থে একতরফাভাবে জারি করা হয়েছে এবং অবিলম্বে কার্যকর হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নির্দেশ দুমাস বলবৎ থাকবে। তবে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারি দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মচারীদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশ প্রযোজ্য হবে না বলে জারিকৃত নির্দেশিকায় বলা হয়েছে।
জেলাশাসক মৃদুল যাদব জানিয়েছেন, সীমান্ত এলাকায় শান্তি, নিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং যে কোনও ধরনের অবৈধ কার্যকলাপ প্রতিরোধ করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস