কলকাতা, ১৪ অক্টোবর, (হি.স.): “তৃণমূলের মিছিল-মিটিংয়ে টোটো চালানো যুবকরা যাতে যুক্ত হয়, ভিড় হয় তাই তাদের রাজনৈতিক ভাবে বলির পাঁঠা করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে।” মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই অভিযোগ করেন রাজ্য বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
তিনি বলেন, টোটো চালকদের কাছে আমাদের আবেদন রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি আপনাদের পাশেই রয়েছে তাই আপনারা এক টাকাও দেবেন না। আপনারা সাহায্য চাইলে বিজেপি ও বিজেপির মনোনীত সদস্যরা আপনাদের সাহায্য করবে।
সল্ট লেক বিজেপি কার্যালয়ে শুভেন্দুবাবু আমাদের রাজ্যে চাকরি না পাওয়া বেকার যুবকরা যারা টোটো চালিয়ে রুটি রুজির জোগাড় করছেন তাদের কিছু উপদেশ দেওয়ার জন্য বলেন, “এই রাজ্যের বেকারত্ব দিন দিন বেড়েই চলেছে। নতুন পোস্টে রিক্রুটমেন্ট করা তো দূরে থাকুক, বর্তমান সরকারের সময়কালে ডঃ অমিত মিত্রের নেতৃত্বে ছয় লক্ষ স্থায়ী পদ বিলুপ্ত করা হয়েছে। তাই এই রাজ্যে বাধ্য হয়ে শিক্ষিত যুবক এবং অল্প সংখ্যক কিছু যুবতীরা টোটো চালিয়ে সংসার চালান।
শুভেন্দুবাবু এদিন বলেন, আমাদের এই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় যে ছোটো ছোটো কামারশালা রয়েছে সেখানে এই টোটো গুলি তৈরি হয়। সেখান থেকে টোটো নিয়ে এই যুবকরা সংসার চালাচ্ছেন। রাজ্য সরকার রেজিস্ট্রেশনের নামে টোটো গুলির কাছ থেকে টাকা তুলতে চায়। রেজিস্ট্রেশনের জন্য ফিজ ধার্য করা হয়েছে ১০০০ টাকা। প্রত্যেক মাসে তাদের দিতে হবে ১০০ টাকা করে অর্থাৎ বছরে ১২০০ টাকা দিতে হবে।
ইডি, সিবিআইয়ের তদন্তের কারণে এখন চিটফান্ড বন্ধ হয়ে গেছে, তাই রাজ্য সরকার এখন মদ নির্ভর। কুড়ি হাজার নতুন মদের দোকান দেওয়া হয়েছে এই রাজ্যে। সামনে যেহেতু নির্বাচন তাই নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে ভাতার পরিমাণ ১০০-২০০ টাকা বাড়াতে হবে। তাই এইভাবে টাকা তোলার প্রক্রিয়া শুরু করেছে রাজ্য সরকার।
শুভেন্দুবাবু এদিন বলেন, গ্রাম গঞ্জে যারা প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যে শিক্ষিত যুবকরা টোটো চালিয়ে সংসার চালান তাদের জন্য এই বাড়তি ফিজ মুকুব করার দাবি জানাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, একজন বিরোধী দলনেতা হিসেবে রাজ্য সরকারের কাছে এটি তাঁর আবেদন।
এছাড়াও তিনি জানান, আগামী ৪ মাসের মধ্যে মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট চালু হতে যাচ্ছে।
আমাদের মনে হয় এই কারণেই এই ৫ লক্ষ টোটো রেজিস্ট্রেশনের নামে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনার একটি অপচেষ্টা করা হচ্ছে।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / মৌসুমী সেনগুপ্ত