দুর্গাপুর, ১৪ অক্টোবর (হি.স.): রক্ষকই যদি ভক্ষক হয়, আমি কি করব? যে সহপাঠী মেয়েকে নিয়ে গিয়েছিল, তার সম্পূর্ণ হাত আছে। পূর্ব পরিকল্পিত ঘটনা। দুর্গাপুর কান্ড নিয়ে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন নির্যাতিতার বাবা।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাতে কলেজ থেকে খাবার খেতে বেড়িয়ে গণধর্ষণের শিকার হয় ওড়িশার এল ডাক্তারি পড়ুয়া। আর জি কর থেকে কসবা ল কলেজ, মুর্শিদাবাদ থেকে পাশুকুড়া হাসপাতাল। একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় গোটা দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে বাংলার। এখনও পর্যন্ত মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও ঘটনায় নির্যাতিতার সহপাঠীকে এখনও গ্রেফতার করেনি। মঙ্গলবার বিস্ফোরক অভিযোগ তুলল নির্যাতিতার বাবা। ঘটনায় ধৃতদের নাম শেখ নাসিরউদ্দীন, দুর্গাপুরের বিজড়া গ্রামের বাসিন্দা। দুর্গাপুর পুরসভার ঠিকাকর্মী সেখ সফিকুল, সেখ রিয়াজউদ্দীন বেসরকারী ওই হাসপাতালের প্রাক্তন অস্থায়ী কর্মী, ফিরদৌস সেখ ও অপু বাউরি। ধৃতদের আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের জামিন খারিজ করে পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেন।ঘটনায় আক্রান্ত ছাত্রীর সহপাঠীর ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ করেছেন নির্যাতিতার বাবা। এদিন তিনি আক্ষেপের সঙ্গে বলেন, রক্ষকই যদি ভক্ষক হয়, আমি কি করব? যে সহপাঠী মেয়েকে নিয়ে গিয়েছিল, ঘটনায় তার সম্পূর্ণ হাত আছে। পুর্ব পরিকল্পিত ঘটনা। তিনি আরও বলেন, আমার মেয়ের এত বড় সর্বনাশ হল। আর যেন কোনও মেয়ের এরকম সর্বনাশ না হয়, তাই পশ্চিমবঙ্গে মেয়েদের সুরক্ষা দেওয়া হোক। এত টাকা খরচ করে ডাক্তারি পড়তে পাঠিয়েছিলাম। আবাসিক হোস্টেলে রেখেছিলাম। সেটাই ছিল তার ঘর। অথচ সেই ঘরেই মেয়েদের নিরাপত্তা নেই। একজন ছেলে তাকে ডেকে নিয়ে চলে গেল। নিরাপত্তারক্ষী কিম্বা হোস্টেলের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা তাদের আটাকায়নি। সোমবার রাতে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনার সুনীল চৌধুরী জানান, ঘটনার পরই এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত সঠিকভাবেই চলছে। নির্যাতিতার সহপাঠী তদন্তে সহযোগিতা করছে। যখনই ডাকা হচ্ছে আসছে। তিনি আরও বলেন, ঘটনায় মর্মাহত। পুলিশ নির্যাতিতার পাশে আছে এবং থাকবে। নির্যাতিতার পরিবারের সুরক্ষা ব্যাবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু নেননি। নির্যাতিতার সুরক্ষায় একজন মহিলা অফিসার ও গার্ড রাখা হয়েছে। দোষীদের কঠোরতম শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
হিন্দুস্থান সমাচার / জয়দেব লাহা