দুর্গাপুর, ৩ অক্টোবর (হি.স.) : দুর্গাপুজোর পরেই দুর্যোগের আশঙ্কা ঘনাচ্ছে দামোদর উপত্যকায়। বিগত দুদিন ধরে বিহার ও ঝাড়খন্ডে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে হু হু করে জল বাড়ছে মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধারে। বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে দফায় দফায় জল ছাড়তে শুরু করেছে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন (ডিভিআরআরসি)। মাইথন-পাঞ্চেত থেকে ছাড়া জল ইতিমধ্যেই দুর্গাপুর ব্যারেজে এসে পৌঁছেছে। ফলে নিম্ন দামোদর উপত্যকায় প্লাবনের আশঙ্কায় আতঙ্ক বাড়ছে।
শুক্রবার আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গেছে, সক্রিয় মৌসুমী অক্ষরেখা ও নিম্নচাপের কারণে বিহার-ঝাড়খন্ডে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়েছে। শুধু বৃহস্পতিবারেই মাইথন ও পাঞ্চেত উপত্যকায় ২৬ থেকে ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে। এর জেরে শুক্রবার পর্যন্ত জলাধারের জলস্তর দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিন ডিভিআরআরসি সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে মাইথন জলাধার থেকে ৪২ হাজার ৫০০ কিউসেক এবং পাঞ্চেত থেকে ২৭ হাজার ৫০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকেও এদিন বিকেল পর্যন্ত প্রায় ৬৯ হাজার ৪২৫ কিউসেক জল ছাড়া হয়। মাইথনের জলস্তর দাঁড়িয়েছে ৪৮৫.৫০ ফিটে এবং পাঞ্চেতের জলস্তর ৪১৩.৮০ ফিটে।
ডিভিআরআরসি-র সদস্য সচিব সঞ্জীব কুমার জানান, “বৃষ্টিপাত ও তেনুঘাট থেকে জল ছাড়ার ফলে মাইথন ও পাঞ্চেতের জলস্তর দ্রুত বাড়ছে। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে ধাপে ধাপে জল ছাড়া হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে আগাম সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।”
রাজ্য সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জয় মজুমদার বলেন, “পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখা হয়েছে। মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে জলছাড়া বাড়লে, ব্যারেজ থেকেও আরও জল ছাড়া হবে।”
এদিকে দামোদরে জল বেড়ে যাওয়ায় প্রতিমা বিসর্জনে সমস্যায় পড়ছেন দুর্গাপুজোর উদ্যোক্তারা। তবে বিসর্জন ঘাটে বিপর্যয় মোকাবিলা দল ও পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।
হিন্দুস্থান সমাচার / জয়দেব লাহা