দুর্গাপুর কার্নিভালে বাংলাদেশি অভিনেত্রী, প্রতিবাদে সরব বিজেপি, পাল্টা তৃণমূলের কটাক্ষ
দুর্গাপুর, ৪ অক্টোবর (হি.স.) : দুর্গাপুর কার্নিভালে বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসানের উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে তীব্র বিতর্ক ছড়াল শিল্পনগরীতে। অভিনেত্রীর অংশগ্রহণের বিরোধিতা করে শনিবার বিকেলে দুর্গাপুর মহকুমাশাসকের দফতরের সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়ল
দুর্গাপুর কার্নিভালে বাংলাদেশি অভিনেত্রী, প্রতিবাদে সরব বিজেপি, পাল্টা তৃণমূলের কটাক্ষ


দুর্গাপুর, ৪ অক্টোবর (হি.স.) : দুর্গাপুর কার্নিভালে বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসানের উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে তীব্র বিতর্ক ছড়াল শিল্পনগরীতে। অভিনেত্রীর অংশগ্রহণের বিরোধিতা করে শনিবার বিকেলে দুর্গাপুর মহকুমাশাসকের দফতরের সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়ল বিজেপি। গো-ব্যাক স্লোগান, পোস্টার, এমনকি অভিনেত্রীর ছবিও আগুনে পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানাল দলীয় কর্মীরা।

উল্লেখ্য, প্রতি বছর দুর্গাপুজো উপলক্ষে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বিভিন্ন জেলায় আয়োজিত হয় কার্নিভাল। এবছর দুর্গাপুর মহাত্মা গান্ধী রোডে আয়োজিত কার্নিভালের মঞ্চে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জয়া আহসান। উৎসবমুখর পরিবেশের মাঝেই তাঁর উপস্থিতি ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক। বিজেপির অভিযোগ, রাজ্য সরকার ইচ্ছে করেই একজন বিদেশি শিল্পীকে এনে রাজ্যে উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করছে।

বিজেপির দুর্গাপুর-বর্ধমান সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,“বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতন চলছে, মন্দির ভাঙা হচ্ছে। সেই দেশের এক অভিনেত্রীকে এনে এই শহরে কার্নিভালে বসানো হচ্ছে— এটা বাংলার শিল্পীদের প্রতি অপমান। রাজ্যের শিল্পীদের অবমূল্যায়ন করে বাইরের তারকাদের এনে গ্ল্যামার দেখানো মানে বাংলার সংস্কৃতিকে আঘাত করা। আমরা এই সাংস্কৃতিক অবমাননার প্রতিবাদ করছি।”

তাঁর আরও অভিযোগ, “বাংলাদেশে জেহাদিরা হিন্দুদের উপর হামলা চালাচ্ছে, আর সেই দেশ থেকেই অভিনেত্রী এনে পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশ বানানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল সরকার।”

দুর্গাপুরে এ ধরনের বিতর্ক নতুন নয়। গত বছর ডিসেম্বর মাসে দুর্গাপুর উৎসবে বাংলাদেশের পতাকা সংবলিত কাপড়ের স্টলকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। এমনকি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে বাংলাদেশ সরকারের লোগোযুক্ত পোস্টার নিয়েও রাজনৈতিক তরজা হয়।

এদিন বিজেপির প্রতিবাদের পাল্টা জবাব দেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। তিনি বলেন,“দুর্গাপুরে জয়া আহসানের মতো আন্তর্জাতিক মানের শিল্পীর আগমন আমাদের সাংস্কৃতিক সম্প্রীতির প্রতীক। বিজেপি রাজনীতির রঙে শিল্প-সংস্কৃতিকে কলুষিত করছে। বাংলার মানুষ এদের উত্তর দেবে।”

সব মিলিয়ে, দুর্গাপুরের কার্নিভালে জয়া আহসানের উপস্থিতি ঘিরে রাজনীতির রং গাঢ় হচ্ছে— একদিকে গেরুয়া শিবিরের প্রতিবাদ, অন্যদিকে তৃণমূলের সাংস্কৃতিক ঐক্যের বার্তা।

হিন্দুস্থান সমাচার / জয়দেব লাহা




 

 rajesh pande