ডিভিসির জল ছাড়াকে ঘিরে কেন্দ্র-রাজ্য চাপানউতোর, ‘২০২৬-এর আগে রাজনৈতিক বন্যা’, মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা সুকান্তর
দুর্গাপুর, ৪ অক্টোবর (হি.স.) : ডিভিসির জলছাড়াকে কেন্দ্র করে ফের সরগরম রাজ্য রাজনীতি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক্স মাধ্যমে পোস্ট ঘিরে শুরু হয়েছে কেন্দ্র-রাজ্যের নতুন তরজা। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগের পাল্টা জবাবে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা পশ্চি
ডিভিসির জল ছাড়াকে ঘিরে কেন্দ্র-রাজ্য চাপানউতোর, ‘২০২৬-এর আগে রাজনৈতিক বন্যা’, মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা সুকান্তর


দুর্গাপুর, ৪ অক্টোবর (হি.স.) : ডিভিসির জলছাড়াকে কেন্দ্র করে ফের সরগরম রাজ্য রাজনীতি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক্স মাধ্যমে পোস্ট ঘিরে শুরু হয়েছে কেন্দ্র-রাজ্যের নতুন তরজা। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগের পাল্টা জবাবে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি-র প্রাক্তন সভাপতি ডঃ সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, “২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বন্যা। রাজ্যে বন্যা নিয়ন্ত্রণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অপদার্থতা স্পষ্ট। নিজের ব্যর্থতার দায় ডিভিসির ঘাড়ে চাপাচ্ছেন তিনি।”

প্রসঙ্গত, গভীর নিম্নচাপ ও সক্রিয় মৌসুমি অক্ষরেখার প্রভাবে বিগত দু’দিন ধরে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে ঝাড়খন্ড, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের কিছু অংশে। ফলে দ্রুত বাড়ছে পাঞ্চেত ও মাইথন জলাধারের জলস্তর। সূত্রের খবর, পাঞ্চেত জলাধার থেকে ৩৭ হাজার ৫০০ কিউসেক ও মাইথন থেকে ৩২ হাজার ৫০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। পাশাপাশি দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকেও শনিবার বিকেল পর্যন্ত ৭৪ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স মাধ্যমে পোস্ট করে ডিভিসির বিরুদ্ধে তীব্র অভিযোগ তোলেন। তিনি লেখেন, “ডিভিসি কর্তৃপক্ষ একতরফাভাবে ও ইচ্ছাকৃতভাবে জল ছাড়ছে, যাতে উৎসবের সময়ে পশ্চিমবঙ্গ প্লাবিত হয়। লক্ষ লক্ষ মানুষ যখন পুজোয় ব্যস্ত, তখন তাঁদের উপর দুর্যোগ নামিয়ে আনার এটি একটি ষড়যন্ত্র। লজ্জাজনক ও অগ্রহণযোগ্য।”

মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য ঘিরেই রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিজেপির তরফে পাল্টা আক্রমণে নামেন সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কথায়, “প্রতি বছরই বৃষ্টি নামলেই মমতা সরকার ডিভিসিকে দোষ দেয়। অথচ পলি জমে ব্যারেজের নাব্যতা কমে যাওয়ায় রাজ্যের নিজস্ব বন্যা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাই ভেঙে পড়েছে।” ডিভিআরআরসি-র সদস্য সচিব সঞ্জীব কুমার বলেন, “বিগত দু’দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে ৭০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। জল ছাড়ার আগে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে কমলা সতর্কতা জানানো হয়েছিল। চলতি বছর বর্ষার আগেই বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ সরকার জানিয়েছিল যে তারা ১ লক্ষ ৩০ হাজার কিউসেক জল রিসিভ করতে পারবে।” সব মিলিয়ে ডিভিসির জলছাড়াকে ঘিরে ফের উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। একদিকে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, অন্যদিকে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর মন্ত্রীর পাল্টা খোঁচায় স্পষ্ট—২০২৬ বিধানসভা ভোটের আগেই রাজনৈতিক বন্যায় ভাসছে বাংলা।

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / জয়দেব লাহা




 

 rajesh pande