বাজারিছড়া (অসম), ৪ অক্টোবর (হি.স.) : শ্রীভূমি জেলান্তর্গত বাজারিছড়া থানাধীন হাতিখিরায় গলায় ফাঁস জড়িয়ে জনৈক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। লাশটি হাতিখিরা চা বাগানের ফ্যাক্টরি লাইনের বাসিন্দা জনৈক সুভাষ রবিদাসের বছর ৩০-এর ছেলে চন্দন রবিদাসের বলে শনাক্ত করা হয়েছে।
জানা গেছে, মৃত চন্দন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি ছিলেন। বহুদিন ধরে আগরতলায় (ত্রিপুরা) তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। তাঁর মা-বাবা, স্ত্রী ও দুটি ছোট-ছোট সন্তান রয়েছে। দুর্গাপূজার মহাষষ্ঠীর দিন বাড়ি এসে স্ত্রী-সন্তান সহ পরিবারের অন্যদের জন্য নতুন পোশাক ইত্যাদি কিনে দিয়েছিলেন। কিন্তু মহানবমীর সকাল থেকে নাকি বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান চন্দন রবিদাস।
এদিকে আজ শনিবার সকালে বাড়ি-লাগোয়া একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালে স্থানীয় বাসিন্দারা এর উৎসের সন্ধান করতে লেগে পড়েন। ঘরের ভেতরে প্রবেশ করেন বাসিন্দারা। ভেতরে প্রবেশ করে তাঁরা দেখেন ঘরের কড়িকাঠের সাথে চন্দনের পচাগলা নিথর দেহ ঝুলছে। মেঝের সঙ্গে লেগে আছে ছড়ানো দুটি পা।
পরে বাগান পঞ্চায়েতের পদাধিকারীরা পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে ছুটে এসে তদন্তে নামে বাজারিছড়া থানার পুলিশ। পুলিশ মৃতদেহের পাশ থেকে মদের বোতল, সেদ্ধ ছোলা এবং তিনটি প্লাস্টিকের গ্লাস উদ্ধার করেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, মৃত্যুর পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত সঙ্গীসাথীদের সঙ্গে মদ পান করেছেন চন্দন। এ ঘটনাকে স্থানীয়রা সহজভাবে নিতে পারছেন না। অনেকে মনে করছেন, চন্দন আত্মহত্যা করেছে। আবার কেউ কেউ সন্দেহ করছেন আকণ্ঠ মদ্য পান করিয়ে তাকে খুন করে গলায় ফাঁস জড়িয়ে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার রূপ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
চন্দনের বাবা সুভাষ রবিদাস এবং প্ৰতিবেশীরা বলেছেন, তাঁদের ঘরে কোনও অশান্তি ছিল না। তাই আত্মহত্যার প্রশ্নই ওঠে না। চন্দনকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে, দাবি বাবা সুভাষ সহ প্রতিবেশীদের।
এদিকে স্থানীয় প্রশাসনিক ম্যাজিস্ট্রেট তথা সার্কল অফিসারের উপস্থিতিতে চন্দনের মৃতদেহ ইনকুয়েস্ট করে ময়নাতদন্তের জন্য শ্রীভূমি সিভিল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
হিন্দুস্থান সমাচার / মনোজিৎ দাস