গুয়াহাটি, ৪ অক্টোবর (হি.স.) : কিংবদন্তি গায়কের ব্যান্ডমেট শেখরজ্যোতি গোস্বামীর বিস্ফোরক অভিযোগ, জুবিন গার্গক বিষপান করিয়েছিলেন অনুষ্ঠানের আয়োজক শ্যামকানু মহন্ত এবং তাঁর ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মা। গোস্বামীর আরও অভিযোগ, অভিযুক্তরা ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বিদেশে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা (বিএনএসএস)-র ধারা ১৭৫-এর অধীনে রেকর্ডকৃত এক বিবৃতিতে শেখরজ্যোতি গোস্বামী তদন্তকারীদের কাছে এই অভিযোগ করেছেন।
প্ৰসঙ্গত, শেখরজ্যোতি গোস্বামী, জুবিনের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মা, অনুষ্ঠানের আয়োজক শ্যামকানু মহন্ত, সংগীতশিল্পী অমৃতপ্রভা মহন্ত সহ দশজনকে গ্রেফতার করেছে এসআইটি। জুবিনের মৃত্যু-মামলায় এসআইটি খুনের অভিযোগ যুক্ত করেছে।
জানা গেছে, মুখ্যমন্ত্রীর স্পেশাল ভিজিল্যান্স সেলের সিনিয়র পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট ড. রোজি কালিতা এবং তদন্তকারী টিমের কাছে প্রদত্ত বয়ানে শেখরজ্যোতি গোস্বামী বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন, ‘প্যান প্যাসিফিক হোটেলে জুবিনের সাথে বিদ্যমান সিদ্ধার্থ শর্মা গায়কের মৃত্যুর আগে সন্দেহজনক আচরণ করেছিলেন।’ তিনি অভিযোগ করেন, ‘সিদ্ধার্থ শর্মা তাঁদের আউটিঙের সময় নাবিকের কাছ থেকে জোর করে নৌকাটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিলেন, যা যাত্রীদের বিপদে ফেলেছিল।’ গোস্বামীর আরও দাবি, ‘তিনি (সিদ্ধার্থ শর্মা) নিজে পানীয় সরবরাহ করবেন বলে সিঙ্গাপুরের আসাম অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য তন্ময় ফুকনকে পানীয়ের ব্যবস্থা না করতে বলেছিলেন।’
শেখরজ্যোতি আরও বলেন, ‘‘সমুদ্ৰে সাঁতার কাটার সময় জুবিন যখন শ্বাস নিতে কষ্ট পাচ্ছিলেন, তখন সিদ্ধাৰ্থ শর্মা চিৎকার করে বলেন, ‘জাবো দে, জাবো দে’ (ওকে যেতে দাও, যেতে দাও)। জুবিনের মুখ এবং নাক দিয়ে ফেনা বের হচ্ছিল। কিন্তু সিদ্ধার্থ একে ‘অ্যাসিড রিফ্লাক্স’ বলে উড়িয়ে দিয়ে অন্যদের আশ্বস্ত করেন যে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই।’
এসআইটি আধিকারিকদের তিনি বলেন, ‘জুবিন একজন অভিজ্ঞ সাঁতারু। তিনি আমাকে (গোস্বামী) এবং সিদ্ধার্থ শর্মাকে সাঁতারের প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন। তাই তিনি দুর্ঘটনায় জলে ডুবে মারা যেতে পারেন না।’ গোস্বামীর দাবি, ‘সিদ্ধার্থ শর্মা অন্যদের ইয়ট আউটিঙের ভিডিও শেয়ার না করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।’
হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস