আগামীকাল কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো, বাজারে জমজমাট বিকিকিনি
কুমারঘাট (ত্রিপুরা), ৫ অক্টোবর (হি.স.) : সোমবার কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো। এই উপলক্ষে ঊনকোটি জেলার কুমারঘাটের পাবিয়াছড়া বাজারে ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে চলছে কেনাবেচার ব্যস্ততা। বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে অনেকটাই, তার মধ্যেও ধনের দেবীকে তুষ্ট করতে আয
লক্ষ্মী মূর্তি


কুমারঘাট (ত্রিপুরা), ৫ অক্টোবর (হি.স.) : সোমবার কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো। এই উপলক্ষে ঊনকোটি জেলার কুমারঘাটের পাবিয়াছড়া বাজারে ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে চলছে কেনাবেচার ব্যস্ততা। বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে অনেকটাই, তার মধ্যেও ধনের দেবীকে তুষ্ট করতে আয়োজনে ত্রুটি রাখতে নারাজ গৃহস্থ। সেইমতো বিক্রেতারাও পসরা সাজিয়ে বসেছেন বাজারে।

সবেমাত্র শেষ হল দুর্গাপুজো। এরই মাঝে দুয়ারে হাজির বাঙালীর বারোমাসে তেরো পার্বণের আরও একটি পার্বণ কোজাগরী লক্ষ্মীপূজো। শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে ঘরে ঘরে আরাধনা হবে ধনের অধিষ্ঠাত্রী দেবী লক্ষ্মীর। তাই ধনের দেবীকে তুষ্ট করতে বাজারে হাজির ক্রেতারা। বিক্রেতারাও বসেছেন পসরা সাজিয়ে।

তবে পুজো উপলক্ষে বাজারে বেড়েছে জিনিসপত্রের দাম। এমন‌ই বক্তব্য ক্রেতা সাধারণের। কুমারঘাটে লক্ষ্মী পুজোর বাজার করতে যাওয়া দেবব্রত ত্রিপাঠী নামে এক ক্রেতা জানান, পুজোর উপাচার নিতে বাজারে এসেছেন তিনি। লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষে বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে অনেকটাই। তাতে সীমিত সামর্থের মধ্যে পুজো করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে অনেক ক্রেতাদেরকেই।

এদিকে লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষে গৃহস্থদের পাশাপাশি বাজারে হাজির গৃহিনীরাও। পুজোর বাজার করতে আসা দিপালী দে নামে এক ক্রেতা জানান, পুজো উপলক্ষে ফলফলাদি, চিনি, ময়দা সমস্ত কিছুই নিয়েছেন তিনি। নেবেন মূর্তিও। কিন্তু অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর মূর্তির দাম বেড়েছে অনেকটাই। ফলে মূর্তি কিনতে গিয়ে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তিনি জানান, গত বছর যে মূর্তি আড়াইশো টাকায় কিনেছিলেন এবছর তিনশো টাকাতেও মিলছে না সেই মাপের মূর্তি।

পাবিয়াছড়া বাজারে বিভিন্ন জায়গা থেকে লক্ষ্মী প্রতিমা নিয়ে হাজির হয়েছেন বিক্রেতারা। বাজারে আসা পরিতোষ রায় নামে এক মূর্তি বিক্রেতা জানান, এবছর বাজারে মূর্তির যোগান অনেকটাই কম অন্যান্যবারের তুলনায়। সর্বোচ্চ ১৫০০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা দরে এবছর মূর্তি বিক্রি হচ্ছে। তিনি জানান, বাজারের শুরু থেকেই তেমন একটা ভাল চলছেনা বিক্রি। বাজারের অবশিষ্ট সময়ে বিক্রি কেমন হবে তা নিয়েও সন্ধিহান মূর্তি বিক্রেতা।

এদিকে ফল নিয়েও হাজির হয়েছেন ফল বিক্রেতারা। কিন্তু বর্তমান পুজোর বাজারে ফলের দাম যে বেড়েছে, ক্রেতাদের কথা অনুযায়ী সে কথা নিজেও স্বীকার করলেন শহরের এক ফল বিক্রেতা। কুমারঘাট বাজারের ফল বিক্রেতা হরিধন দেব জানান, এবছর শুরু থেকেই তেমন জমে উঠেনি পুজোর বাজার।

তিনি জানান অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর ফলফলাদির দাম অনেকটাই বেশি। তিনি জানান, তাদেরকে বেশি দামেই বিক্রির জন্য কিনে আনতে হচ্ছে ফল। তাই ক্রেতাদেরকেও বেশি দামে বাজার থেকে তা কিনতে হচ্ছে।

তবে পুজোর বাজারে সামগ্রীর আকাশছোঁয়া দাম হলেও ধনের দেবীকে তুষ্ট করতে কোন খামতি রাখতে চাইছেনা প্রতিটি গৃহস্থ। সাধ ও সাধ্যের মধ্যে ধন-সম্পদের দেবীর আরাধনার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত গৃহকর্তা থেকে গৃহিণী সকলেই।

হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ




 

 rajesh pande