হাফলং (অসম), ৬ অক্টোবর (হি.স.) : গত ২ অক্টোবর ডিমা হাসাও জেলার দিয়ুং নদীতে দুর্গা প্রতিমা নিরঞ্জন পর্ব দেখতে গিয়ে বছর ২৪-এর এক যুবতীকে অপহরণ করে তাঁর ওপর শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে ধর্ষণ করে রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিল তিন ডিমাসা যুবক। কিন্তু ঘটনার চার দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও পুলিশ ওই তিন ধর্ষককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি। এরই প্রতিবাদে এবং ধর্ষণকাণ্ডে জড়িত তিন ধর্ষককে গ্রেফতারের দাবিতে আজ সোমবার হাফলঙে জেলা কমিশনার কার্যালয়ের সামনে ডিমা হাসাও জেলার বিভিন্ন মহিলা সংগঠন সম্মিলিতভাবে উত্তাল প্রতিবাদী কর্মসূচি পালন করেছে।
মহিলা সংগঠনগুলির অভিযোগ, ডিমা হাসাও জেলায় এখন মহিলারা সুরক্ষিত নয়। পাহাড়ি এই জেলায় মহিলাদের ওপর অপরাধ এবং ধর্ষণের মতো ঘটনা বেড়ে চলছে। সংগঠনগুলির নেত্রীরা অভিযোগ করেছেন, দুষ্কৃতীরা এভাবে ধর্ষণ ও অপরাধের ঘটনা সংগঠিত করে খোলা আকাশের নীচে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অথচ এ সব অপরাধীদের পুলিশ গ্রেফতার করতে পারছে না।
তাঁদের অভিযোগ, গত ২ অক্টোবর হাডিংমা অঞ্চলের দিশরুরাজি গ্রামের বছর ২৪-এর এক যুবতী দিয়ুং নদীতে দশমী দেখতে যায়। কিন্তু সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ বাড়ি ফিরে যাওয়ার পথে তিন ডিমাসা যুবক ওই যুবতীকে একটি অটোতে তুলে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে তার ওপর অকথ্য শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে ধর্ষণ করে তাকে বাইমিং হাডিং গ্রামের কাছে রাস্তায় ফেলে দেয়।
অবশেষে ৩ অক্টোবর শুক্রবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা ওই যুবতীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে যুবতীর পরিবারকে খবর দেওয়ার পর ওই যুবতীকে হাফলং সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে ওই যুবতীর চিকিৎসা চলছে হাফলং সরকারি হাসপাতালে। কিন্তু এই ঘটনার চার দিন অতিক্রান্ত হলেও পুলিশ ধর্ষকদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি। তাই আজ তাঁর জেলা কমিশনার কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সাব্যস্ত করে অবিলম্বে ধর্ষকদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি প্রদান করার দাবি জানিয়েছেন জেলার সাধারণ এবং পুলিশ প্রশাসনের কাছে, জানান বিভিন্ন মহিলা সংগঠনের নেত্রীরা।
হিন্দুস্থান সমাচার / বিশাখা দেব