ঝাড়গ্রাম, ৬ অক্টোবর (হি.স.) : ঝাড়গ্রামের বিনপুর ২ ব্লকের হাড়দা গ্রামে ১৬৩ বছর ধরে প্রতি বছর লক্ষ্মী ও সরস্বতী দুই দেবীর একসঙ্গে পুজো হয়। দেবী সরস্বতীর পরণে সাদা শাড়ি এবং দেবী লক্ষ্মীর পরণে হালকা গোলাপী রঙের শাড়ি থাকে। পুজোর সময় প্রতি বছর বিশেষ আতশবাজির প্রদর্শনের ব্যবস্থা করে হাড়দার লক্ষ্মী পুজো কমিটি।
দুই দেবীর মাথার উপর থাকে নারায়ণ, আর দু’পাশে চারজন সখী বা ‘লুক-লুকানি’ অবস্থান করে। আয়োজকদের মতে, নারায়ণের গোটা পরিবারকেই এখানে পুজো করা হয়। এই ব্যতিক্রমী লক্ষ্মী পুজোর জন্য জেলা জুড়ে মানুষের মধ্যে বিশেষ উৎসাহ রয়েছে। প্রায় কয়েক হাজার লোক অংশ নেন। গত কয়েক বছর ধরে পরিবেশবান্ধব আতশবাজির ব্যবস্থাও চালু করা হয়েছে। এই বছরের পুজোর বাজেট প্রায় আঠারো লক্ষ টাকা। পুজোর প্রধান আকর্ষণ সবুজ আতশবাজি, যা দেখতে মানুষের ভিড় হয়।
লক্ষ্মী পুজো একদিনের নয়, টানা পাঁচ দিন চলে। পাশাপাশি সাত দিন ধরে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। পুজো কমিটির সম্পাদক তারাপদ সাহা বলেন, “দেবী লক্ষ্মী পার্থিব ও অপার্থিব সম্পদ, সৌভাগ্য এবং সৌন্দর্যের দেবী। বিষ্ণুপুরাণ অনুযায়ী নারায়ণের দুই স্ত্রী—লক্ষ্মী ও সরস্বতী। তাই একজনকে ছেড়ে অন্যজনের পুজো করা সম্ভব নয়। আমাদের পূর্বপুরুষদের শুরু করা এই লক্ষ্মী-সরস্বতী পুজো আজও একই সঙ্গে করা হয়।”
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / গোপেশ মাহাতো