নোয়াখালির হিন্দুহত্যার স্মরণে বার্তা তথাগতের
কলকাতা, ৬ অক্টোবর (হি.স.): “ইতিহাস যারা ভুলে যায় তাদের কপালে আছে আবার সেই ইতিহাসের বলি হওয়া। স্পেনীয় দার্শনিক -- সান্তাইয়ানার উক্তি দিয়ে নোয়াখালির হিন্দুহত্যার স্মরণে বার্তা দিলেন প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়। তিনি সোমবার এক্সবার্তায় লিখেছেন,
নোয়াখালির হিন্দুহত্যার স্মরণে বার্তা তথাগতের


কলকাতা, ৬ অক্টোবর (হি.স.): “ইতিহাস যারা ভুলে যায় তাদের কপালে আছে আবার সেই ইতিহাসের বলি হওয়া। স্পেনীয় দার্শনিক

-- সান্তাইয়ানার উক্তি দিয়ে নোয়াখালির হিন্দুহত্যার স্মরণে বার্তা দিলেন প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়।

তিনি সোমবার এক্সবার্তায় লিখেছেন, “

আজ কোজাগরী লক্ষীপুজো। ১৯৪৬ সালে এই দিনটিতে গোলাম সারোয়ার নামক মুসলিম লীগের এক নরপিশাচের নেতৃত্বে ব্রিটিশ ভারতের প্রাক্তন নোয়াখালি জেলা ও সংলগ্ন চাঁদপুর মহকুমা (বর্তমান বাংলাদেশের নোয়াখালি, ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুর জেলা) জুড়ে ৮০% মুসলমান ২০% হিন্দুর উপর অমানুষিক অত্যাচার করেছিল - প্রধানত হত্যা, ধর্ষণ, বলপূর্বক ধর্মান্তরকরণ ও সম্পত্তি নষ্ট করা।

হিন্দু মহাসভা নেতা রাজেন্দ্রলাল রায়চৌধুরীর কাটা মুন্ডু একটি ডেকচিতে করে সারোয়ারের কাছে উপহার দিয়েছিল তার চ্যালারা। এর বিস্তারিত আছে দীনেশচন্দ্র সিংহের 'নোয়াখালির মাটি ও মানুষ', অশোকা গুপ্তের 'নোয়াখালির দুর্যোগের দিনে' ও আমার 'যা ছিল আমার দেশ' বইতে।

মোহনদাস গান্ধী এই সময় নোয়াখালি পরিভ্রমণ করে খুব নাম কিনেছিল, কিন্তু মুসলমান হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে একটি কথাও বলে নি। তবে তার আরো বেশি নামডাক হয়েছিল, কারণ এই ভ্রমণকালীন সে দুটি নাতনির বয়সী মেয়েকে বিছানায় দুপাশে নিয়ে ন্যাংটো হয়ে শুত। বলত, সে নাকি নিজের উপর এক্সপেরিমেন্ট করছে। বাচ্চা বাচ্চা মেয়েদুটির কি অবস্থা হত তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

এই সময় হত্যা-ধর্ষণকারীদের একটা standard operating procedure ছিল, কোনো হিন্দু গৃহস্থের একমাত্র গরুটিকে কেটে তার মাংস গৃহস্থকে খাওয়ানো। সেই সময় হিন্দুদের বিশ্বাস ছিল, একবার গরুর মাংস মুখে দিলে আর হিন্দুসমাজে ফিরে আসতে পারবে না। রামকৃষ্ণ মিশনের স্বামী মাধবানন্দ ও শ্যামাপ্রসাদ দুজনে মিলে তাঁদের হিন্দুসমাজে ফিরে আসার ব্যবস্থা করেছিলেন।”

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / অশোক সেনগুপ্ত




 

 rajesh pande