মুখ্যমন্ত্রীর হাতে চালু ‘অরুণোদয় ৩.০’ প্রকল্প, অন্তৰ্ভুক্ত ৩৮ লক্ষাধিক পরিবার
- ৪০ লক্ষ মায়ের আশীর্বাদপ্ৰাপ্ত সরকারের ক্ষতি করতে পারবে না কেউ : হিমন্তবিশ্ব। গুয়াহাটি, ৭ অক্টোবর (হি.স.) : মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শৰ্মার হাতে এবার চালু হয়েছে ‘অরুণোদয় ৩.০’ প্রকল্প। তৃতীয় দফার অরুণোদয়-এ অন্তৰ্ভুক্ত হয়েছে ৩৮ লক্ষাধিক পরিবার। এর
অরুণোদয় ৩.০ প্রকল্প-এর সুবিধাভোগীদের সমাবেশে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শৰ্মা


অনুষ্ঠান মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী সহ বিশিষ্টজনেরা


- ৪০ লক্ষ মায়ের আশীর্বাদপ্ৰাপ্ত সরকারের ক্ষতি করতে পারবে না কেউ : হিমন্তবিশ্ব।

গুয়াহাটি, ৭ অক্টোবর (হি.স.) : মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শৰ্মার হাতে এবার চালু হয়েছে ‘অরুণোদয় ৩.০’ প্রকল্প। তৃতীয় দফার অরুণোদয়-এ অন্তৰ্ভুক্ত হয়েছে ৩৮ লক্ষাধিক পরিবার। এর বলে প্রত্যেক সুবিধাভোগী মহিলা প্রতি মাসের ১১ তারিখ পাবেন ১,২৫০ টাকা।

আজ গুয়াহাটিতে কেন্দ্রীয়ভাবে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে মুখ্যমন্ত্ৰী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মা ‘অরুণোদয় ৩.০’ প্রকল্পের সূচনা করে প্রদত্ত ভাষণে বলেছেন, ‘আজকের দিনটি আমার কাছে বেজায় আনন্দের দিন। মহিলা সবলীকরণের এক সুবর্ণ দিন। অসমের ইতিহাসে এই প্রকল্প সবচেয়ে বড় দারিদ্র্য-বিরোধী উদ্যোগ৷’ প্রসঙ্গক্রমে অরুণোদয় প্রকল্প নিয়ে সমালোচনাকারী কংগ্রেসকে তুলোধোনা করেছেন ড. শর্মা।

তিনি বলেন, ‘৩৮ লক্ষ মহিলাকে প্ৰদান করা হবে অরুণোদয় ৩.০ প্রকল্পের অর্থ। অতিরিক্তভাবে রান্নার গ্যাস (এলপিজি) সিলিন্ডার কেনার ওপর ২৫০ টাকা ভরতুকি প্রদান করবে সরকার। ২০২০ সালে প্ৰথমবারের মতো এই প্রকল্পের সূচনা করেছিলাম। কোভিড অতিমারির পর শুরু হয়েছিল এই অভিলাষী প্রকল্প। সর্বপ্রথম অরুণোদয় প্রকল্প চালু হওয়ার পর প্রাথমিকভাবে মাসিক ৮৩০ টাকা করে প্রদান করা হয়েছিল।’ ড. শর্মা বলেন, অরুণোদয় প্রকল্প বাবদ প্রতি মাসে রাজ্য সরকারের খরচ হবে ৪১০ কোটি টাকা।

ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেন, ডিবিটি-র মাধ্যমে সুবিধাভোগীরা পাবেন এই প্রকল্পের অর্থ। তিনি জানান, এখনই বড়োল্যান্ড টেরিটরিয়াল রিজিওন (বিটিআর)-এর অন্তর্গত চারটি জেলায় অরুণোদয় ৩.০ প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত হবে না। এই চার জেলা ছাড়া অসমের সব জেলাকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘অরুণোদয় প্রকল্প কেবল একটি আর্থিক সহায়তা-প্রকল্প নয়, এটি সেই ঋণ যা আমরা আমাদের মায়েদের প্রতি বছরব্যাপী তাঁদের কৃত সমস্ত ত্যাগের জন্য শোধ করছি।’

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথম দফার অরুণোদয়-এ ১৮ লক্ষ মহিলাকে প্ৰদান করা হয়েছিল প্রকল্পের অর্থ। লোকসভা নিৰ্বাচনেপ পর ৮৩০ থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার টাকা করা হয়েছিল। ২০২২ সালে ১৮ লক্ষ থেকে ২৮ লক্ষে বৃদ্ধি করা হয়েছিল সুবিধাভোগীর সংখ্যা। অরুণোদয়-এর তৃতীয় সংস্করণে ৪০ লক্ষ সুবিধাভোগী বৃদ্ধি করার লক্ষ্য ধাৰ্য করা হয়েছিল। এই প্রকল্পে ২৫,৯৯১টি স্থানে মা-বোন সংযুক্ত হয়েছেন।’

আজকের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ড. শর্মা আরও ঘোষণা করেছেন, সুবিধাভোগীদের জন্য একটি ‘বিশেষ চমক’ আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে উন্মোচন করা হবে। তবে কী সেই ‘বিশেষ চমক’, তা তিনি খোলসা করেননি। অরুণোদয় ছাড়াও অসম সরকার আরও যে বেশ কয়েকটি জনকল্যাণমূলক প্রকল্প প্রচলন করেছে, সে সবের সংক্ষিপ্ত খতিয়ান দিয়েছেন তিনি। ওই সব জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের অধীনে বিনামূল্যে চাল, ভরতুকিযুক্ত ডাল, এলপিজি সিলিন্ডার, বিনামূল্যে শিক্ষা, কন্যাশিশু শিক্ষার জন্য প্রণোদনা এবং বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা প্রদান ইত্যাদি।

অরুণোদয় প্রকল্প নিয়ে সমালোচনাকারী কংগ্রেসকে তুলোধোনা করে ড. শর্মা বলেন, ‘কংগ্রেসকে বুঝতে হবে, ৪০ লক্ষ মায়ের আশীর্বাদ রয়েছে এমন সরকারকে কেউ ক্ষতি করতে পারে না এবং পারবেও না। অরুণোদয় প্রকল্পের যতই সমালোচনা করুক কংগ্রেস, আমি দ্বিগুণ উৎসাহ নিয়ে এই প্রকল্পকে প্রসারিত করব। এই প্রকল্পের সমালোচনা না করে কংগ্রেসের উচিত এগিয়ে আসা এবং সমর্থন করা...’ বলেন মুখ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘অসমে আমাদের মা-বোনদের আমি বলতে চাই, সেপ্টেম্বরের অরুণোদয়-এর পাশাপাশি আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে আমরা আপনাদের আরেকটি বড় উপহার দেব।’

আজকের অনুষ্ঠানে অন্য বহুজনের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী অজন্তা নেওগ, গুয়াহাটির সাংসদ বিজুলি কলিতা মেধি, গুয়াহাটির মেয়র মৃগেণ শরণিয়া, বিধায়ক সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য, বিধায়ক রমেন কলিতা, মুখ্যসচিব ড. রবি কোটা প্রমুখ।

হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস




 

 rajesh pande