অশোক সেনগুপ্ত
কলকাতা, ৭ অক্টোবর (হি.স.): ডিভিসি'র জল ছাড়া নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এমনকী উত্তরবঙ্গের বিপর্যয়ের জন্যও তিনি দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনকেই দায়ী করেছেন৷ এর প্রেক্ষিতে ‘হিন্দু জাগরণ’-এর দক্ষিণবঙ্গ জেলাশাখার একটি পোস্টে একটি মানচিত্র যুক্ত করে মঙ্গলবার অজস্র কটাক্ষ করা হল মুখ্যমন্ত্রীকে।
তাতে লেখা হয়েছে, “হ্যাঁ বন্ধুরা, এই রুটেই ডিভিসি-র কেন্দ্রীয় জল উত্তরবঙ্গে গিয়েছে”, তৃণমূলের অভিযোগের বিপুল সাড়া মিলল নেটনাগরিকদের। প্রতিক্রিয়ায় কৌশিক মন্ডল লিখেছেন, “আমি শুনেছিলাম ডিভিসি-র জল নাকি দমদম বিমানবন্দর হয়ে ফ্লাইটে করে উত্তরবঙ্গে গেছে যাতে তাড়াতাড়ি বন্যা করে শ্রদ্ধেয় পিসিকে কিছু একটা বলার সুযোগ করে দেওয়া যায়।” সুদর্শন চক্রবর্তী লিখেছেন, “উনি নিজে geaography and science বই লিখেছেন তারপর পড়েছেন ,উনি অন্য বই পড়েন না তাই ওনার মতানুযায়ী জল উপরের দিকে উঠতে পারে, may be।”
দি দি নামধারী একজন লিখেছেন, “উত্তরবঙ্গের বন্যার জল এসেছে মহারাষ্ট্র ও গুজরাটের থেকে আর মমতার বেগম এর জন্য দোষ দিচ্ছেন দিল্লি মেট্রো ও জাপানের বুলেট ট্রেনকে।” মনিদীপা দে আবার সুদর্শনাকে প্রশ্ন করেছেন, “তাহলে কি আপনি বলছেন যে উনি মাদ্রাসায় পড়েছেন?”
তমালী লিখেছেন, “ডিভিসিকে জলশ্রী দেয়নি বলে রেগে গিয়ে উঁচুতে উঠে গেছে।”
অভিজিৎ সুর লিখেছেন, “স্যার আইজ্যাক নিউটনের এক দিদি ছিল তার নাম মিউটন। সবাই তাকে দিদি বলত, তিনি একাধারে লেখিকা, গায়িকা, আইনজ্ঞ, চিত্রকলা, নৃত্যকলা পারদর্শী ছিলেন। বন্যার ওপর গবেষণা করে বিখ্যাত ম্যানমেড থিসিস লেখেন।”
বিশ্বজিৎ দে লিখেছেন, “ওপরে ভগবান আছে তাই দক্ষিণবঙ্গে যখন উনি ডিভিসিকে দোষারোপ করছে। তখন উত্তরবঙ্গ চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে যে লোকের ঘাড়ে দোষ চাপালেই হয় না। ভাগ্যিস উনি বলেননি, কলকাতাতেও ডিভিসির জল ঢুকে গেছিল। তবে উত্তরবঙ্গের লোকেদের জন্য আমার সমবেদনা রইল।”
শুভাশিস চ্যাটার্জী লিখেছেন, “সবের জন্য কেন্দ্র দায়ী। উত্তরবঙ্গকে জোর করে পশ্চিমবঙ্গে রাখার ফল। দক্ষিণবঙ্গেই বাজেটের সব টাকা খরচ হয়ে যায় সুতরাং উত্তরবঙ্গে উন্নয়ন সম্ভব নয়। তবে মূর্খ মন্ত্রীর বড় বড় বাতেলাতেই জনগন খুশী।”
ভবানী প্রসাদ রায় লিখেছেন, “উত্তর বঙ্গের জনগন এই ডাইনিটাকে দুটো করে ভোট দিবেন। উন্নয়ন ঝাঁপিয়ে পড়বে।” পীযূষ কুণ্ডু লিখেছেন, “সবাই তো ছাগল যা লতা পাতা দেয় সবই খায়। তাই যা বলে সবাই শুনে মেনে নেয়।”
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / অশোক সেনগুপ্ত