উত্তরবঙ্গের বিপর্যয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পোস্টের প্রেক্ষিতে জবাব মমতার
কলকাতা, ৭ অক্টোবর (হি.স.): “উত্তরবঙ্গে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যেও রাজনীতি করতে নেমেছেন প্রধানমন্ত্রী।” নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশে এমনই মন্তব্য করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জলপাইগুড়ির নাগরাকাটায় সোমবার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু
উত্তরবঙ্গের বিপর্যয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পোস্টের প্রেক্ষিতে জবাব মমতার


কলকাতা, ৭ অক্টোবর (হি.স.): “উত্তরবঙ্গে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যেও রাজনীতি করতে নেমেছেন প্রধানমন্ত্রী।” নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশে এমনই মন্তব্য করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

জলপাইগুড়ির নাগরাকাটায় সোমবার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এবং বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের হামলার নিন্দা করে সোমবার রাতে এক্স হ্যান্ডলে বাংলা এবং ইংরেজিতে পোস্ট করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দুষেছিলেন রাজ্য সরকার এবং শাসকদল তৃণমূলকে। প্রধানমন্ত্রীর সেই অভিযোগের ‘জবাব’ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘‘এটি দুর্ভাগ্যজনক এবং গভীর ভাবে উদ্বেগজনক যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী যথাযথ তদন্তের অপেক্ষা না করেই একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগের রাজনীতিকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিশেষ করে যখন উত্তরবঙ্গের মানুষ ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধস পরবর্তী পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করছেন।’’ ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযান চলাকালীন বিজেপির নেতারা স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনকে কিছু না জানিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী-সহ বিশাল কনভয় নিয়ে দুর্ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

দুই বিজেপি নেতার উপর হামলার জন্য রাজ্য ও শাসকদলের নাম জড়ানোর নিন্দা করে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘প্রধানমন্ত্রী কোনও যাচাই করা প্রমাণ, আইনি তদন্ত বা প্রশাসনিক প্রতিবেদন ছাড়াই তৃণমূল কংগ্রেস এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সরাসরি দোষারোপ করেছেন। এটি কেবল নিম্নমানের রাজনীতির উদাহরণ নয়, এটি প্রধানমন্ত্রী যে সাংবিধানিক নীতি বজায় রাখার শপথ নিয়েছেন তার লঙ্ঘন। যে কোনও গণতন্ত্রে আইনকে তার নিজস্ব গতিতে চলতে দিতে হয়। কেবলমাত্র আইনি প্রক্রিয়াই দোষী চিহ্নিত করতে পারে। কোনও রাজনৈতিক টুইট নয়।’’

---------------

হিন্দুস্থান সমাচার / অশোক সেনগুপ্ত




 

 rajesh pande