বাঁকুড়া, ৮ অক্টোবর (হি.স.) : বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের বারিকুল থানার লেপাম গ্রামে টোটোচালক সুশীল হেমব্রম খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ মুর্মু ওরফে ডোগোকে। পরকীয়ার জেরেই এই খুন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ। বুধবার অভিযুক্তকে খাতড়া মহকুমা আদালতে তোলা হয়, সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে সোমবার রাতে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুশীল হেমব্রম (৩৯) সেদিন বিকেলে টোটো নিয়ে রসপাল হাটে সবজি আনতে যান, কিন্তু আর ফেরেননি। পরদিন সকালে আগুইগোড়া ক্যানেল সেতুর ধারে ধানখেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় তাঁর দেহ। তাঁকে ফুলকুশমা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকর মৃত ঘোষণা করেন।
তদন্তে পুলিশ নেমে জানতে পারে, মৃত সুশীলের সঙ্গে অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ মুর্মুর স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক ছিল। এই পরকীয়া সম্পর্ককে কেন্দ্র করেই দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল দুই পরিবারের মধ্যে। অবশেষে সেই সম্পর্কই মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায় সুশীলের জন্য। ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুনের পর পালিয়ে যায় বিশ্বজিৎ। পরে মঙ্গলবার রাতে পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে বারিকুল থানার পুলিশ।
এক পুলিশ আধিকারিক জানান , প্রাথমিক তদন্তে পরকীয়ার সম্পর্ককেই হত্যার মূল উদ্দেশ্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। ঘটনার পর থেকেই এলাকায় আতঙ্ক ও শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
---------------
হিন্দুস্থান সমাচার / সোমনাথ বরাট