কাছাড়ে জেলাজুড়ে আর্থিক সম্পদ নিষ্পত্তি শিবির ১১ অক্টোবর
শিলচর (অসম), ৮ অক্টোবর (হি.স.) : নাগরিকদের অমীমাংসিত জমানো টাকার নিষ্পত্তিতে এক অনন্য পদক্ষেপ নিতে চলেছে কাছাড় জেলা প্রশাসন। আগামী ১১ অক্টোবর (শুক্রবার) জেলাজুড়ে একযোগে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে অব্যবহৃত আর্থিক সম্পদ নিষ্পত্তি শিবির। অসম সরকারের অর্থ দফ
কাছাড়ে জেলাজুড়ে আর্থিক সম্পদ নিষ্পত্তি শিবির ১১ অক্টোবর


শিলচর (অসম), ৮ অক্টোবর (হি.স.) : নাগরিকদের অমীমাংসিত জমানো টাকার নিষ্পত্তিতে এক অনন্য পদক্ষেপ নিতে চলেছে কাছাড় জেলা প্রশাসন। আগামী ১১ অক্টোবর (শুক্রবার) জেলাজুড়ে একযোগে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে অব্যবহৃত আর্থিক সম্পদ নিষ্পত্তি শিবির। অসম সরকারের অর্থ দফতরের নির্দেশে আয়োজিত এই উদ্যোগের লক্ষ্য, নাগরিকদের তাঁদের দীর্ঘদিনের ন্যায্য আর্থিক দাবিগুলি দ্রুত ও স্বচ্ছভাবে ফিরিয়ে দেওয়া।

আজ বুধবার শিলচরে অবস্থিত বরাক উপত্যকার তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগের আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়ে বলা হয়েছে, জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, শিবিরটি সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪.০০টা পর্যন্ত চলবে। মূল শিবির অনুষ্ঠিত হবে জেলাশাসকের কার্যালয়ের পুরনো সম্মেলন কক্ষে। পাশাপাশি সম-জেলা কার্যালয় ধলাই, সোনাই রাজস্ব চক্র এবং লক্ষ্মীপুর, কাটিগড়া ও উধারবন্দ খণ্ড উন্নয়ন কার্যালয়েও একযোগে এই পরিষেবা চালু থাকবে। লক্ষ্য একটাই, জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দারাও যাতে সহজে এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারেন।

জেলা উন্নয়ন আয়ুক্ত নরসিং বে জানিয়েছেন, “এই উদ্যোগ অসম সরকারের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও স্বচ্ছ প্রশাসনের অঙ্গীকারের প্রতিফলন। নাগরিকদের সঙ্গে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সেতুবন্ধন গড়ে তুলেই আমরা অভিযোগগুলির দ্রুত নিষ্পত্তি করতে চাই।”

তিনি আরও বলেন, “এটি কেবল আর্থিক নিষ্পত্তির শিবির নয়, বরং এটি সাধারণ মানুষের ন্যায্য অধিকার ফিরে পাওয়ার এক প্রচেষ্টা। আমরা চাই, কোনও নাগরিক যেন অপ্রয়োজনীয় বিলম্ব বা প্রশাসনিক জটিলতায় ভোগান্তির শিকার না হন।”

উল্লেখ্য, রাজ্যব্যাপী এই অভিযানটি কেবল গচ্ছিত অর্থ ফেরানোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এর বৃহত্তর লক্ষ্য হলো, আর্থিক সচেতনতা বৃদ্ধি, প্রতিষ্ঠানের দায়বদ্ধতা ও প্রতিশ্রুতি জোরদার করা, বিশেষত গ্রামীণ এলাকায় যেখানে বহু অর্থ বছরের পর বছর অমীমাংসিত অবস্থায় পড়ে থাকে।

প্রশাসন সকল নাগরিককে অনুরোধ করেছে, নির্দিষ্ট শিবিরস্থানে প্রয়োজনীয় পরিচয়পত্র ও নথিপত্র সহ উপস্থিত হয়ে ব্যাংকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে।

হিন্দুস্থান সমাচার / সমীপ কুমার দাস




 

 rajesh pande