আগরতলা, ৮ অক্টোবর (হি.স.) : একঘন্টার ভারী বর্ষণে বানভাসি অবস্থা রাজধানী আগরতলার। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল গড়ে ৬২ মিলিমিটার।আগামী ২৪ ঘন্টার জন্য দক্ষিণ জেলা, গোমতী জেলা, সিপাহীজলা জেলা, পশ্চিম জেলা এবং খোয়াই জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, এমনটাই পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের।
ফের ভারী বর্ষণে বানভাসি রূপ ধারণ করল রাজধানী আগরতলা। স্মার্ট সিটি লিমিটেডের নবনির্মিত কভার ড্রেনগুলির জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠল। বৃষ্টির জলে শহরের নিন্মাঞ্চলগুলি এক প্রকার জলবন্দী হয়ে পড়ে। এদিন সকাল থেকেই রাজধানীর আকাশ ছিল কালো মেঘে ঢাকা। থেকে থেকে হালকা বৃষ্টিও হচ্ছিল। কিন্তু সাড়ে দশটা নাগাদ শুরু হয় মুশল ধারায় বর্ষণ। প্রায় একঘন্টা চলে ভারী বর্ষণ। ভারী বর্ষণের ফলে জলমগ্ন হয়ে পড়ে রাজধানীর নিম্নাঞ্চলগুলি।
এদিন এমবিবি বিমানবন্দর সংলগ্ন ইন্ডিয়ান মেট্রোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্টের সাথে যোগাযোগ করা হলে আধিকারিকরা জানান, গভীর রাত থেকে রাজধানীর উপর একটি ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব ছিল। ইন্ডিয়ান মেট্রোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্টের আগরতলা শাখা থেকে তথ্য দিয়ে জানানো হয়, বুধবার সকালে রাজধানীতে গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৬২ মিলিমিটার। তবে রাজধানীর জেলাশাসক অফিস অঞ্চল এলাকা অর্থাৎ শহরের মূল নাভি কেন্দ্রে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৭১.৫ মিলিমিটার।সচিবালয় এলাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৩৮ মিলিমিটার। লেম্বুছড়া এলাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ২৭.৫ মিলিমিটার। এছাড়া নাগিছড়া এলাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ১৫.৫ মিলিমিটার।
ভারী বর্ষণে শহরে জল জমে যাওয়ায় এদিন অফিস যাত্রীসহ সাধারণ জনগণের ভোগান্তি চরম পর্যায়ে পৌঁছে। একাধিক মন্ত্রীর সরকারি আবাস জলমগ্ন হয়ে পড়ে। বিভিন্ন সড়কেই জলের কারণে তীব্র যানজট মানুষের ভোগান্তিকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
প্রসঙ্গত, প্রতি বছরের মত এবারও ১৪ অক্টোবর থেকে রাজ্য থেকে বিদায় নিতে শুরু করবে বর্ষা। বর্ষা বিদায়ের আগে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকে। সক্রিয় দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু প্রবাহ এবং রাজধানীর উপর সৃষ্ট আংশিক ঘূর্ণাবর্ত- এই জোড়া ফলাতেই বুধবার সকালের এই ভারী বর্ষণ।
হিন্দুস্থান সমাচার / গোবিন্দ দেবনাথ