
কুলতলি, ১০ নভেম্বর (হি. স.) : দক্ষিণ ২৪ পরগনা কুলতলিতে জেলার সাহসী দুই তরুণীকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করল তৃণমূল কংগ্রেস। শুভেচ্ছা বার্তা দিলেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সামাজিক বেড়া জাল ছিন্ন করে সুন্দরবনের দুই সাহসী তরুণী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন গত সপ্তাহে। যা বাংলা তথা দেশের কাছে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলে দাবি করেন অভিষেক। সোমবার কুলতলীতে রিয়া ও রাখির জন্য সংবর্ধনা সভার আয়োজন করা হয় যেখানে উপস্থিত ছিলেন কুলতলির বিধায়ক গনেশ চন্দ্র মন্ডল মথুরাপুরের সাংসদ বাপি হালদার।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজারের বাসিন্দা রিয়া সরদার ও বকুলতলার বাসিন্দা রাখি নস্কর নিজেদের ভালবাসাকে বজায় রাখার জন্য একে ওপরকে বিয়ে করেছেন গত সপ্তাহে। তাঁদের এই ভালবাসাকে পূর্ণতা দিতে কুলতলির জ্বালাবেরিয়া ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের গৌড়ের চকের মানুষজন। তাই রিয়া ও রাখি দুজনকে শুভেচ্ছা ও আশীর্বাদের পাশাপাশি ওই গ্রামের মানুষকেও ধন্যবাদ জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, “স্বাধীন ভারতের স্বাধীন মানসিকতার, মানবিকতার, মুক্ত চিন্তা ভাবনার ও সাহসিকতার পরিচয় এই দুই সম লিঙ্গের মানুষের বিয়ে। সারাজীবন একসাথে থাকার অঙ্গীকার নিয়ে তাঁরা যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন তা বাংলার কাছে ও বাঙালির কাছে গর্বের। সংকীর্ণতার গণ্ডি পেরিয়ে সামাজিক মতভেদ, ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং সাংস্কৃতিক বাধাকে অতিক্রম করে লক্ষ্যে স্থির থেকেছে তাঁরা প্রকৃত ভালোবাসাকে প্রাধান্য দিয়েই। তাঁদের এই পবিত্র ভালোবাসা চিরঅক্ষয় থাকুক। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজারের বাসিন্দা রিয়া সরদার ও বকুলতলার বাসিন্দা রাখি নস্কর এই নবদম্পতিকে আমি অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং হার্দিক অভিনন্দন জানাই।” এই যুগলের পাশে থাকার জন্য গ্রামে সশরীরে এসে তাঁদেরকে শুভেচ্ছা জানাবেন বলেও দাবি করেন অভিষেক।
বাংলাই আগামীকে পথ দেখায়। এই সাহসিকতার জোরেই আমাদের সমাজ অচলায়তন ভেঙে ও সংকীর্ণতাকে পিছনে ফেলে মুক্ত চিন্তাভাবনার অঙ্গন হয়ে উঠবে। বার্তা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
হিন্দুস্থান সমাচার / পার্সতি সাহা